চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গত ৫, ৬ ও ৮ জুলাই প্রথম আলোয় প্রকাশিত তিনটি প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রারের (তথ্য) সই করা প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, এসব প্রতিবেদন অসত্য ও বিশেষ মহলের প্ররোচনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
গত ৫ জুলাই প্রকাশিত ‘অনিয়মের পাহাড় যে বিশ্ববিদ্যালয়ে’ শীর্ষক প্রতিবেদনের বিষয়ে বলা হয়, গত দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মনীতি বহির্ভূতভাবে কোনো শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। উপাচার্য এককভাবে কাউকে নিয়োগ দেন না। ৬ জুলাই প্রকাশিত ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট সভা, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম প্রসঙ্গে তোপের মুখে উপাচার্য’ শীর্ষক প্রতিবেদনের বিষয়ে বলা হয়, উপাচার্য সাংবাদিকদের ‘মাফিয়া’ বলেছেন বলে যা ছাপা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। সিনেট সভায় উপাচার্য কথোপকথনের একপর্যায়ে যেসব ব্যক্তি উপাচার্যকে নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পত্রপত্রিকায় ‘অসত্য’ বক্তব্য দিয়েছেন, তাঁদের ‘মাফিয়া চক্র’ বলে অভিহিত করেন।
৮ জুলাই প্রকাশিত ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বেফাঁস মন্তব্য করে সমালোচিত উপাচার্য’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি ভিত্তিহী দাবি করা হয়।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: নথিপত্র ও বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে প্রথম প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে উপাচার্য আনোয়ারুল আজিমের বক্তব্যও ছাপা হয়েছে, যা প্রতিবাদপত্রের বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিনেট সভায় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই উপাচার্য সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের ‘মাফিয়া’ বলেন। ওই সভায় সিনেট সদস্যরাও উপাচার্যের তীব্র সমালোচনা করেন। আর এর ভিত্তিতে দ্বিতীয় প্রতিবেদনটি করা হয়। উপাচার্যের ওই বক্তব্যের জন্য যাঁরা সমালোচনা করেছেন, তাঁদের বক্তব্যের ভিত্তিতে তৃতীয় প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। কোনো মহলের প্ররোচনায় এসব প্রতিবেদন করা হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.