উচ্চ রক্তচাপ : কিল দ্য সাইলেন্ট কিলার by ড. মুনীরউদ্দিন আহমদ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপের রোগী। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অর্থাৎ আগে থেকে সচেতন না হলে এবং উচ্চ রক্তচাপ থেকে বেঁচে থাকার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে যেকোনো সময় উন্নত বিশ্বের যে কেউ উচ্চ রক্তচাপের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশেরও বেশি।


এ তথ্যটি প্রকাশ করেছে ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চ রক্তচাপকে বলা হয় হাইপারটেনশন। অনেকেই হাইপারটেনশনের প্রকৃত অর্থ বুঝতে ভুল করেন। তাঁরা মনে করেন, মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা থেকে যে উচ্চ রক্তচাপের উদ্ভব হয় তাকে হাইপারটেনশন বলা হয়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ রক্তচাপ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে তা কোনোমতেই এক বা একমাত্র বড় কারণ নয়। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে হাইপারটেনশনের প্রকোপ অভাবনীয়ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। হাইপারটেনশনকে যথার্থভাবেই 'সাইলেন্ট কিলার' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সুতরাং এই সাইলেন্ট কিলার সম্পর্কে সচেতন থাকতে ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হলে আমাদের সাইলেন্ট না থেকে যথেষ্ট সক্রিয় হতে হবে।
১৯৯৮ সালে ডায়াবেটিস জার্নালে প্রকাশিত এক যুগান্তকারী মৌলিক গবেষণায় প্রকাশ করা হয়, দুই-তৃতীয়াংশ ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট রোগীর উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। ইনসুলিন, রেজিস্ট্যান্স ও উচ্চ রক্তচাপের সম্পর্ক শরীরে উচ্চমাত্রার ইনসুলিন, লেপটিন ও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে দুর্বল প্রভাবের এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আরো এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, কারো উচ্চ রক্তচাপ অতি সহজে এবং তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে না এলে তার স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। এর কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, রক্তে উচ্চমাত্রার সুগারের (গ্লুকোজ) পরিমাণ। রক্তে অনিয়ন্ত্রিত সুগার লেভেল শরীরে ডায়বেটিক ও অন্যান্য রোগের উৎপত্তি ঘটায় বা হৃদরোগের সমস্যাকে জটিল করে তোলে। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। দুটো সমস্যাই একে অপরের সম্পূরক। এর অর্থ দাঁড়ায়_রক্তে অধিক মাত্রায় অনিয়ন্ত্রিত সুগারের কারণে যদি উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয়, তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা গেলে উচ্চ রক্তচাপ স্বাস্থ্যসম্মত পর্যায়ে নিয়ে আসতে ঝামেলা কম হয়।
অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ শরীরের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত মরণঘাতী দুটো রোগের নাম_স্ট্রোক ও হৃদবৈকল্য বা হার্ট ফেইলিওর। বিপজ্জনক কথা হলো, হাইপারটেনশনের কোনো সতর্ককারী চিহ্ন বা উপসর্গ পরিলক্ষিত হয় না। আরো দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হলো, একাধিক উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করা সত্ত্বেও প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। এত সবের মধ্যেও সবচেয়ে ভালো খবর হলো_লাইফস্টাইল বা জীবনযাপনের ধারা পরিবর্তন করে প্রায় ৮৫ শতাংশ রোগী তাদের উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কোনো রোগী চাইলে ক্ষতিকর বা অকার্যকর ওষুধ ছাড়াই কিছু অতি সহজ ও সাধারণ পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাদের উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা, লেপটিন ও ইনসুলিন লেভেলে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারে।
করণীয় পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে বলার আগে আসুন আমরা উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই। রক্তচাপ দুই প্রকার। সিস্টোলিক (systolic) ও ডায়াস্টোলিক (diastolic) রক্তচাপ। চিকিৎসক যদি প্রেসক্রিপশনে লিখে থাকেন_বিপি ১২০/৮০, তাহলে বুঝতে হবে কোনো মানুষের সিস্টোলিক রক্তচাপ ১২০ এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৮০ মিলিমিটার মার্কারি। কারো সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ যথাক্রমে ১২০ এবং ৮০ থেকে নিচে থাকলে তাকে স্বাভাবিক রক্তচাপ হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রিহাইপারটেনশনের রেইনজ বা প্রান্তসীমা হলো যথাক্রমে ১২০-১৩৯/৮০-৮৯। প্রথম ধাপ হাইপারটেনশনের প্রান্তসীমা ধরা হয় ১৪০-১৫৯/৯০-৯৯ এবং দ্বিতীয় ধাপ হাইপারটেনশনের প্রান্তসীমা হলো ১৮০/১০০-এর বেশি।
রক্তচাপ সারাক্ষণ বা সারা দিন স্থির থাকে না। দিনের বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন কাজের পর ভিন্ন ভিন্ন ধরনের রক্তচাপ পাওয়া যায়। যেমন দৌড়ানো বা ব্যায়ামের পর রক্তচাপ বেড়ে যায়, আর ঘুমানো অবস্থায় রক্তচাপ থাকে কম। কিন্তু রক্তচাপ যদি সব সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে তবে তা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়। তবে রক্তচাপ মাপার সঠিকতা বা যথার্থতা নির্ভর করে অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর।
এক. স্থূলকায় মানুষের রক্তচাপ নির্ণয়ে ভুল রিডিং চলে আসতে পারে। মোটা হাতে সঠিকভাবে রক্তচাপের কাফ (‍Cuff) লাগানো যায় না বলে আট থেকে দশ শতাংশ মোটা মানুষের উচ্চ রক্তচাপের ভুল ডায়াগনসিস করা হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের ওজন বেশি বলে তাদের জন্য রক্তচাপ মাপাটা ঝুঁকির কারণ বটে। সুতরাং ওজন বুঝে সঠিক কাফ (Cuff) ব্যবহার করে রক্তচাপ মাপাটা বাঞ্ছনীয়।
দুই. হাতের পজিশন ঠিক রাখতে হবে। হাত যদি শরীরের সমান্তরালে (প্যারালাল) থাকে তবে রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি যোগ হয়ে যাবে। যথাযথ রক্তচাপ নির্ণয়ের জন্য হাত শরীরের সঙ্গে ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকতে হবে।
তিন. চিকিৎসক বা চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী কারো কাছে গেলে ভয়ভীতি, উত্তেজনা বা মানসিক চাপের কারণে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে উত্তেজনা, মানসিক চাপ বা ভয়ভীতি দূরীকরণের পর রক্তচাপ গ্রহণ করতে হবে।
চার. অস্বাভাবিক অবস্থায় একবার মাত্র রক্তচাপ মেপে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্তচাপ পাওয়ার পর রোগীকে হাইপারটেনসিভ বিবেচনা করে চিকিৎসক উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রদান করলে তা হবে মারাত্মক ভুল। কারণ স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তচাপ স্বাভাবিকই আসবে। রক্তচাপ মাপার সময় এ দিকগুলো আমরা বিবেচনায় নিই না। একবার কোনো স্বাভাবিক রোগীকে উচ্চ রক্তচাপ আছে বলে ঘোষণা দিলে মানসিকভাবে রোগী বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। তখন সে প্রকৃতই হাইপারটেনসিভ হয়ে পড়বে। এই সমস্যা এড়ানোর জন্য দিনের বা সপ্তাহের বিভিন্ন সময়ে মানুষের রক্তচাপ নির্ণয় করে উপসংহারে আসতে হবে।
একটা কথা আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে_উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে আমাদের লাইফস্টাইল বা জীবনযাপনের ধরনের একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কেউ যদি বেশি পরিমাণে খাদ্যশস্য বা চিনি জাতীয় খাবার খায় এবং ব্যায়াম না করে তবে তার ইনসুলিন লেভেল বেড়ে যাবে এবং একসময় সে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট হয়ে পড়বে। শরীরে ইনসুলিন লেভেল এবং রক্তচাপের পরিমাণের একটি প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে রক্তচাপও আনুপাতিক হারে বাড়বে। সুতরাং ইনসুলিন লেভেল স্বাভাবিক রাখা স্বাভাবিক রক্তচাপের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সুখবর হলো_লাইফস্টাইল বা জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন করে উচ্চ রক্তচাপ নামিয়ে আনা সম্ভব।
এর ফাঁকে একটি জরুরি ও গোপন কথা বলে নিই। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন (HTN) সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়নে জয়েন্ট ন্যাশনাল কমিটি অন প্রিভেনশন, ডিটেকশন, ইভ্যালুয়েশন অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট অব হাই ব্লাড প্রেশার [যাকে সংক্ষেপে জেএনসি (JNC) বলা হয়]। এর প্রবল অশুভ প্রভাব থাকে। উচ্চ রক্তচাপ চিকিৎসায় বাজারে প্রায় ১০০ ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। জেএনসি সব সময়ই উচ্চ রক্তচাপ চিকিৎসায় ওষুধের ওপর এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে একাধিক ওষুধের সংমিশ্রণ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। তাদের প্রতিবেদনে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে খুব বেশি কিছু একটা বলা হয় না। অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ_এ কথাটি তাদের প্রতিবেদনের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। এবার হতভম্ব হওয়ার মতো একটি তথ্য প্রদান করি। জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (JAMA) ২০০৩ সালের জুলাই মাসের এক সমীক্ষায় প্রকাশ করে যে অসংখ্য প্রেসক্রিপশনে নানা ধরনের অসংখ্য ওষুধ প্রেসক্রাইব করা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য সুফল পাওয়া যায়নি। সমীক্ষায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, এদের এক-তৃতীয়াংশ জানেই না যে তাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে। উচ্চ রক্তচাপের ৪০ শতাংশ রোগী কোনো চিকিৎসা করায় না এবং প্রতি ১২ জনের মধ্যে তিনজনের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নেই।
আর্কাইভ অব ইন্টারনাল মেডিসিন কর্তৃক ২০০০ সালে পরিচালিত অন্য এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, ৩০ শতাংশ মৃদু বা মাঝারি উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে প্লাসিবো (যে ওষুধে কোনো সক্রিয় উপাদান নেই) প্রদান করলে রক্তচাপ কমে আসে। এর অর্থ হলো_ওষুধ ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ২০০৩ সালের জুন মাসে পরিচালিত এক গবেষণায় প্রকাশ করে যে উচ্চ রক্তচাপের জন্য ওষুধ গ্রহণ করাকালে ৯৭ শতাংশ রোগী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়। তার অর্থ হলো_মাত্র তিন শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না।
এটা আশ্চর্যের ব্যাপার নয় যে অধিকাংশ চিকিৎসক সনাতনী পদ্ধতিতে 'কুকবুক মডেল' প্রয়োগপূর্বক উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা করে থাকেন। উচ্চ রক্তচাপের ধরন ও কারণ ভিন্ন। চিকিৎসাও সে মোতাবেক হওয়া উচিত। উচ্চ রক্তচাপের সহজেই চিকিৎসা সম্ভব, কিন্তু অবজ্ঞা করা হলে উচ্চ রক্তচাপ শরীরের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বর্তমান বিশ্বে রোগ প্রতিকারে বিকল্প থাকা সত্ত্বেও যে হারে ঢালাওভাবে ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে, তা বিজ্ঞানসম্মত নয়, স্বাস্থ্যসম্মতও নয়। আধুনিক বিজ্ঞান বলে, শতকরা ৮৫ শতাংশ রোগীর উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব, যদি লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনা যায়। মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা রক্তচাপ বাড়ায়_এ তথ্য জানা সত্ত্বেও জেএনসি তাদের তথ্য বিবরণীতে উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে ওষুধ প্রয়োগের বিকল্প হিসেবে দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ থেকে অবমুক্তির পরামর্শ দিতে কেন অপারগ তা বোঝা মুশকিল।
জেএনসির সপ্তম প্রতিবেদনে রক্তচাপ নির্ণয়ের নতুন নীতিমালা প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত ১২০/৮০-কে স্বাভাবিক রক্তচাপ হিসেবে গণ্য করা হতো। এখন সিস্টোলিক ১২০ থেকে ১৩৯ এবং ডায়াস্টোলিক ৮০-৮৯ রেইঞ্জের প্রেশারকে অভিহিত করা হচ্ছে প্রি-হাইপারটেনশন হিসেবে। ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে চার কোটি ৫০ লাখ সুস্থ আমেরিকান রাতারাতি হাইপারটেনসিভ রোগী হয়ে গেল এবং অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ ওষুধ গ্রহণ শুরু করে দিল। এসব রোগী ক্রনিক হাইপারটেনশনের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে আছে_এ ধরনের কোনো তথ্যপ্রমাণ কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না।
লেখক : অধ্যাপক, ফার্মাসি অনুষদ, ঢাবি ও প্রোভিসি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষক drmuniruddin@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.