পাঠকের প্রশ্ন, আইনি পরামর্শ-ভূমির খাজনা না নিলে কী করব?

প্রশ্ন: আমার পিতা ১৯৩৭ সালে রেজিস্টার্ড পাট্টামূলে দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী মৌজায় পত্তনকৃত পাঁচ শতক জমি ক্রয় করেন। সিএস ও আরএস খতিয়ানে আমার পিতার নাম রেকর্ডভুক্ত হয়েছে, যার সিএস খতিয়ান নম্বর ১০০৮ ও আরএস খতিয়ান নম্বর ১০১০। আমার পিতা ১৯৭২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। আমি পিতার একমাত্র পুত্র, আর কোনো শরিক নেই।

উল্লিখিত জমিতে দোতলা বিল্ডিংসহ বসতবাড়ি আছে। সেখানে আমি পরিবারসহ বাস করছি। বর্তমান সার্ভের মাঠপর্যায় আমার নাম রেকর্ড হয়েছে। ফাইনালে পরচা এখনো আসেনি। আমি পিতার একমাত্র পুত্র হওয়ায় জমি আমার নামে খারিজ করিনি। আমার পিতা জীবিতকালে এবং পরবর্তী সময়ে আমি ওই জমির খাজনা পিতার নামে নিয়মিত পরিশোধ করে আসছি। হঠাৎ ২০০৮ সালে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ওই জমির খাজনা দিতে গেলে তহশিল অফিস খাজনা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করে এবং বলে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে পত্র মারফত ওই জমির খাজনা নিতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ জানতে গেলে তহশিলদার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে যোগাযোগ করলে মৌখিকভাবে জানানো হয়, জমিটি একসময় খাস ছিল। দীর্ঘদিন খাজনা দেওয়ার পর এখন প্রশ্ন আসছে কেন, জিজ্ঞেস করলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি এবং তহশিল অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। অবশ্য এ ব্যাপারে অফিস থেকে আমি কোনো লিখিত নোটিশ পাইনি।
জমির কাগজপত্র সব ঠিক থাকার পর এবং দীর্ঘদিন খাজনা পরিশোধ করার পরও বর্তমানে খাজনা না নেওয়ায় চিন্তায় আছি। এ অবস্থায় আমার করণীয় কী এবং কীভাবে আমি এর আইনি প্রতিকার পেতে পারি এবং ওই জমির খাজনা পরিশোধ করার জন্য কী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি জানালে উপকৃত হব।
আবদুল মজিদ
দিনাজপুর।

পরামর্শ: আপনি সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছ থেকে লিখিত আদেশ আনার চেষ্ট করুন। সহকারী কমিশনারের (ভূমি) আদেশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) বরাবর আপিল করতে পারেন। এ ছাড়া দেওয়ানি আদালতে ঘোষণামূলক মামলা দায়েরের সুযোগ রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.