আইন সংশোধনে নয় দফা সুপারিশ

আগামী ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আয়করসংক্রান্ত আইনের কিছু ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন আয়কর আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, প্রস্তাবিত নতুন আইনের ১৬৫বি ধারার কারণে করদাতারা কর কর্মকর্তাদের দ্বারা হয়রানির শিকার হবেন। তাই এ ধারা বাতিল করা প্রয়োজন।
গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ট্যাক্স ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে বাজেট-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে। এতে আয়কর আইন সংশোধনের জন্য নয় দফা সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ট্যাক্স ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম সারোয়ার ও মহাসচিব কামরুল আলম চৌধুরী, ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রমিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ আলমসহ উভয় সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রস্তাবিত আইনের কিছু ধারা অমানবিক ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সংকল্পবদ্ধ। আইন প্রার্থিতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি কোনো সভ্য সমাজের কাম্য নয়। প্রস্তাবিত আইনে ক্ষতিগ্রস্ত কেউ উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার পেতে গেলে দাবিকৃত করের ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিয়ে আপিল করতে হবে।
কর আইনজীবীদের মতে, বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত সব অর্থ মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা জরুরি। তাঁরা শর্ত সাপেক্ষে উৎপাদনমুখী বা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এমন খাতে বিনিয়োগে সুযোগের মাধ্যমে এই অর্থ মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করেছেন। তবে অবৈধভাবে আয় করলে তাঁদের প্রচলিত ফৌজদারি আইন থেকে অব্যাহতি না দেওয়ারও প্রস্তাব করেছেন। কর আইনজীবীদের মতে, ১০ শতাংশ কর প্রদান করে সরকারি বন্ড ক্রয় দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে। তাই এটা বাতিল করার সুপারিশ করেছে।
সমিতির নেতারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ আইনে কর অবকাশের মেয়াদ ২০১৩ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এই কর অবকাশের মেয়াদ ২০১৫ পর্যন্ত বর্ধিত করার পাশাপাশি জাহাজ নির্মাণশিল্পের ন্যায় সম্ভাবনাময় শিল্প খাতকে এর আওতাভুক্ত করার প্রস্তাব করেন।

No comments

Powered by Blogger.