আইন প্রণয়নে সুশীল সমাজকে আর জড়ানো হবে না

ভারত সরকার বলেছে, ভবিষ্যতে আইন প্রণয়নের কাজে সুশীল সমাজকে আর জড়ানো হবে না। মানবাধিকারকর্মী আন্না হাজারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যৌথভাবে লোকপাল বিলের খসড়া তৈরির কাজের কিছুটা তিক্ত অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের এ বক্তব্য এল।
মানবসম্পদ উন্নয়ন (এইচআরডি) মন্ত্রী ও খসড়া প্রণয়ন যৌথ কমিটির অন্যতম সদস্য কপিল সিবাল গতকাল রোববার এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিলের খসড়ায় পরিবর্তন আনা হবে।
পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিবাল আরও বলেন, ‘আমি একে নজির বলছি না। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সরকারকে এটা করতে হয়েছে। আমি মনে করি না, একে একটি নজির হিসেবে ধরা যেতে পারে। আমরা খোলা চোখেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
ভবিষ্যতে আইন প্রণয়ন-প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে আন্না হাজারের পথ ধরে অন্যান্য মানবাধিকারকর্মীর আন্দোলনের আশ্রয় নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমিও তা ভাবছি।’
উচ্চপর্যায়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নজরদারির জন্য লোকপাল পদ সৃষ্টি করতে আইন প্রণয়নের জন্য মানবাধিকারকর্মী আন্না হাজারে অনশন কর্মসূচির মাধ্যমে ভারতজুড়ে আলোড়ন তুলেছেন।
আগামী ১৬ আগস্ট থেকে আন্না হাজারে আবারও আমরণ অনশনে যাওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন, সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি সিবাল।
এদিকে আন্না হাজারে ভারতের উচ্চ আদালত ও প্রধানমন্ত্রীকে লোকপালের আওতায় আনার যে দাবি জানিয়েছেন, তা উড়িয়ে দিয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি জে এস ভার্মা। তিনি বলেছেন, এটা হবে সংবিধান পরিপন্থী। হাজারের আমরণ অনশন কর্মসূচির হুমকিকে তিনি ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে আখ্যায়িত করেন।

No comments

Powered by Blogger.