চার খেমাররুজ নেতার বিচার শুরু

যুদ্ধাপরাধসহ অন্যান্য অভিযোগে কম্বোডিয়ার চার শীর্ষ খেমাররুজ নেতার বিচার শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার কম্বোডিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত যুদ্ধাপরাধ আদালতে এ বিচার শুরু হয়। চার শীর্ষ নেতাকেই গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। তাঁরা হলেন কম্বোডিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান খিউ সাম্পান, রাজনীতিবিদ নুয়ন চিয়া, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেং স্যারি ও তাঁর স্ত্রী সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী লেং।
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত কম্বোডিয়ায় খেমাররুজ শাসনামলে নির্যাতন, হত্যা, অতিরিক্ত কাজের চাপ ও দুর্ভিক্ষে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়। ওই মৃত্যুর ঘটনায় এই চার খেমাররুজ নেতার বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধসহ নানা অভিযোগ আনা হয়। তাঁরা অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আদালতের কাঠগড়ায় তোলার পর ‘ব্রাদার নাম্বার টু’ নামে পরিচিত নুয়ন চিয়া ও খিউ সাম্পানকে রোগা ও দুর্বল দেখাচ্ছিল। এ সময় ৮৪ বছর বয়সী নুয়ন চিয়া বলেন, ‘এই বিচারে আমি খুশি নই।’ এরপর তিনি আচমকা আদালতকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। পরে বিচারকের অনুমতি নিয়ে তিনি আবারও আদালতকক্ষে প্রবেশ করেন।
নুয়ন চিয়ার আইনজীবী মিচিয়েল পেস্টম্যানের অভিযোগ, এই মামলার তদন্তে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে এবং তদন্তে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ করেছে সরকার। তিনি বলেন, বিচারিক তদন্ত এতটাই পক্ষপাতদুষ্ট ছিল যে মামলার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
জটিল এই মামলার বিচারকাজ শেষ করতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
খেম নারেথ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ন্যায়বিচারের জন্য এই বিচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, তিনি চান, ওই চার নেতাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হোক। খেমাররুজ শাসনামলে মা ও ভাইকে হারিয়েছিলেন খেম নারেথ।

No comments

Powered by Blogger.