ইংলিশদের ভাবনায় ফিল্ডিং

দারুণ একটা কাণ্ড ঘটিয়ে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড। ইংলিশদের বধ করে ‘বি’ গ্রুপটাকে উন্মুক্ত তো করে দিয়েছেই, সঙ্গে দলগুলোর মধ্যে ছিটিয়ে দিয়েছে যুদ্ধের মনোভাব। প্রতিটি ম্যাচই যেন এখন একেকটা যুদ্ধ! আজ চেন্নাইতে আক্ষরিক অর্থেই ‘বড়’ ম্যাচ। এটি আরও ‘বড়’ হয়ে উঠেছে নাগপুরের আইরিশ-কাণ্ডের রেশ লাগায়। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ যে ‘আইরিশ-শিকার’ ইংল্যান্ড।
যুদ্ধের হাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। তবে উত্তাপটা ইংল্যান্ড শিবিরে বেশি। হল্যান্ডের বিপক্ষে জয় এবং ভারতের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী ‘টাই’তে যে ইংলিশরা কোয়ার্টার ফাইনালের রাস্তাটা সহজ ভাবতে পারছিল, আয়ারল্যান্ড সেটা কঠিন করে দিয়েছে। শেষ আটে উঠতে স্ট্রাউসদের পরের তিন ম্যাচের দুটিতে জয় দরকার। তিনটি ম্যাচই টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে।
দুটি নয় জোনাথন ট্রট বলছেন তিনটি ম্যাচেই তাঁদের জয় পাওয়া সম্ভব। দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান যেন দলকে উজ্জীবিত রাখতে চাইছেন, ‘আমাদের ম্যাচ (আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে) জেতা উচিত ছিল। কিন্তু যা হওয়ার হয়ে গেছে। বিশ্বকাপে আমাদের আরও তিনটি ম্যাচ আছে। তিনটি ম্যাচেই আমাদের জেতা সম্ভব। ভালো পারফর্ম এবং কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার এটা দারুণ সুযোগ। এই সময়টা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
আয়ারল্যান্ডের কাছে হারের পরই ইংলিশ মিডিয়ায় শুরু হয়ে গেছে স্ট্রাউসদের স্বপ্ন মিলিয়ে যাওয়ার আলোচনা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলে পরিস্থিতি কেমন ঘোলাটে হবে স্ট্রাউস-পিটারসেনদের তা খুব ভালো জানা। কিন্তু জয়ের কথা ভাবতেই তাদের সামনে হতাশার প্রতীক হয়ে ফুটছে বাজে ফিল্ডিং।
প্রথম ম্যাচে হল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেও বোলিং-ফিল্ডিং ছিল যাচ্ছেতাই। অধিনায়ক স্ট্রাউস অসন্তুষ্ট ছিলেন। গ্রায়েম সোয়ান তো এমনও বলেন, ‘ফিল্ডিং ছিল স্কুলছাত্রদের মতো।’ গণ্ডায় গণ্ডায় ক্যাচ মিসের ফল কী সেটা ভালো করেই বুঝিয়ে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড, নির্দিষ্ট করে বললে কেভিন ও’ব্রায়েন। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে ইংলিশরা তাই ফিল্ডিং নিয়েই ভাবছে বেশি। শুক্রবার চেন্নাইতে পা দিয়ে দুই ঘণ্টা তারা ঢালল শুধু ফিল্ডিংয়ের পেছনেই। ফিল্ডিং নিয়ে শিষ্যদের বাড়তি পরিশ্রমে সন্তুষ্ট ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসাল।

No comments

Powered by Blogger.