জুলকারনাইনের অন্তর্ধান নিয়ে বিস্ময়

নিরন্তর অনিশ্চিত পাকিস্তানের ক্রিকেটে নতুন চমক যোগ করেছেন উইকেটরক্ষক জুলকারনাইন হায়দার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে। পরে জানা গেল কাউকে কিছু না বলে নিরাপত্তার আশঙ্কায় লন্ডন পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। পঞ্চম ওয়ানডেতে পরাজয়ের পর কোনো এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ফোনে তাঁকে হুমকি দিচ্ছিল বলে সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকে জানিয়েছিলেন তিনি। জুলকারনাইনের এমন অন্তর্ধানে যারপরনাই বিস্মিত হয়েছেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। সাবেক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান বাসিত আলি মনে করেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন হওয়ায় জুলকারনাইন এমনটা করেছে। তিনি বলেন, ‘সে যে রকম আচরণ করেছে, সেটা খুবই আশ্চর্যজনক। নতুন খেলোয়াড় হিসেবে সে হয়তো ভয় পেয়ে গেছে। কিন্তু পেশাদার খেলোয়াড়দের জন্য এটা তো নতুন কিছু নয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন সময় এ ধরনের হুমকি-ধামকির মুখোমুখি হয়েছে। এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া ঠিক নয়।’
তবে তিনি যদি হুমকিই পেয়ে থাকেন, তাহলে ভয় পেয়ে দুবাই থেকে পাকিস্তানে না ফিরে লন্ডন গেলেন কেন—এই প্রশ্নটি উত্থাপন করেছেন সাবেক ফাস্ট বোলার সরফরাজ নেওয়াজ। ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার জন্য পিসিবিকে অনুরোধও করেছেন তিনি।
পুরো ব্যাপারটিকেই দারুণ রহস্যজনক মনে করেন স্পিন কিংবদন্তি আবদুল কাদির। কোনো শীর্ষস্থানীয় বা ম্যাচজয়ী খেলোয়াড় না হওয়ার পরও কেন জুলকারনাইনকে হুমকি দেওয়ার ব্যাপার ঘটবে তা কিছুতেই মাথায় ঢুকছে না আবদুল কাদিরের। তিনি মনে করেন, দুবাই থেকে লন্ডনে কাউকে কিছু না বলে চলে যাওয়া ঘোরতর অন্যায় হয়েছে জুলকারনাইনের।
পিসিবির সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল তৌকির জিয়া সরফরাজ নেওয়াজ ও আবদুল কাদিরের মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তিনিও মনে করেন, ব্যাপারটির সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, ‘সব রহস্যের অবসান ঘটাতে পিসিবির উচিত ব্যাপারটি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা।’
এদিকে পিসিবির আইনজীবী তফাজ্জল রিজভী জানিয়েছেন, জুলকারনাইন যদি লন্ডন থেকে ফিরেও আসেন, তার পরও আচরণবিধি অনুসারে তাঁকে শাস্তি পেতে হতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.