সরকারি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমাতে বাজারে কারসাজি হচ্ছে

সরকারি যেসব কোম্পানির শেয়ার বাজারে ছাড়ার কথা রয়েছে, সেসব কোম্পানির শেয়ারের মূল্যমান কম করতে বাজারে কারসাজি হচ্ছে। একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সরকারি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমিয়ে দিচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে চেয়ারম্যান আ হ ম মোস্তফা কামাল আজ এ কথা বলেন।
কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, এখন বাজারে অনেক টাকা আছে। ফলে মার্জিন লোন রাখা হবে কি না, এ ব্যাপারে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। এসইসি ইচ্ছে করলে তা বন্ধ করতে পারে।
স্থায়ী কমিটি পুঁজিবাজারের বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে এসইসি, সিএসই, ডিএসইকে পরামর্শ দিয়েছে।
বৈঠকে শেয়ারবাজার ও এনবিআরের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, অর্থসচিব, ব্যাংকসচিব, বাণিজ্যসচিব, এনবিআরের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও এসইসির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মোস্তফা কামাল সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘শিল্পের পুঁজি জোগান দিতে আমরা পুঁজিবাজারের বিকাশ চেয়েছিলাম। এটা পর্যাপ্ত বিকাশ লাভ করেছে। পুঁজিবাজারের অর্থ শিল্পায়নের কাজে নিতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু আমরা সেটা পারিনি। শুধু সেকেন্ডারি বাজারেরই বিকাশ হয়েছে।’
মোস্তফা কামাল আরও বলেন, ‘এখন নতুন করে বিভিন্ন শিল্পকে পুঁজিবাজারে আসতে উৎসাহ দিতে চাই। নানা জটিলতা থাকায় তারা পুঁজিবাজারে আসতে চায় না। এ জন্য আমারা স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সম্মত হয়েছি, পঁজিবাজারে এলে তাদের কর অবকাশ (ট্যাক্স হলিডে) দেওয়া হবে।’

No comments

Powered by Blogger.