‘টেন্ডুলকারই সর্বকালের সেরা’

আগে বিতর্ক হতো লারা, না টেন্ডুলকার। বিতর্কের বিষয়টি এখন পাল্টে গেছে, ডন ব্র্যাডম্যান, নাকি শচীন টেন্ডুলকার? কদিন আগে অস্ট্রেলিয়ারই এক পত্রিকার জরিপে বেরিয়ে আসে ব্র্যাডম্যান নন, শচীন টেন্ডুলকারই সর্বকালের সেরা। জরিপের রায় মেনে এবার জহির আব্বাস বলছেন, শচীন টেন্ডুলকারই সর্বকালের সেরা।
পাকিস্তান কিংবদন্তি মুখ ফুটেই জানিয়ে দিলেন নিজের রায়টা, ‘লোকজন তাঁকে (ব্র্যাডম্যান) সর্বকালের সেরার আসনে রেখেছে। আমি কখনোই তাঁর ব্যাটিং দেখিনি। কিন্তু আমি জানি কোনোভাবেই তিনি টেন্ডুলকারের চেয়ে ভালো হতে পারেন না। এই ছেলেটি (টেন্ডুলকার) নিশ্চিতভাবেই ডনের চেয়ে নিজেকে এক ধাপ ওপরে নিয়ে গেছে।’
জহিরও নিজের মতের পক্ষে মেলে ধরেছেন যুক্তির ডালা, ‘এই ছেলেটিকে দেখুন, সে ২১ বছর ধরে খেলে যাচ্ছে, হাজার হাজার রান করছে, সেঞ্চুরি করছে ডজন ডজন। কিন্তু এখনো একজন অভিষিক্তের চেয়ে বেশি ক্ষুধার্ত।’
পাকিস্তানের ইতিহাসে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক জহিরের দেশ পাকিস্তানের ক্রিকেট এখন অস্থির। ক্রিকেটীয় দক্ষতার চেয়ে নানা কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর নেশাটাই যেন তাদের পেয়ে বসেছে বেশি। উত্তরসূরিদের প্রতি জহিরের আহ্বান টেন্ডুলকারকে দেখে শেখার, ‘তাকে (টেন্ডুলকার) মাঠে দেখার মধ্যেও খুঁজে নেওয়া যায় অনুপ্রেরণা। সে এখনো ব্যাট করছে একজন টিনএজারের মতো। আমাদের ব্যাটসম্যানদের তার কাছ থেকে শেখা উচিত।’
৭৮ টেস্টে ৫০৬২ রান, এই পরিসংখ্যান ব্যাটসম্যান জহিরের দক্ষতা বোঝাতে অপারগ। তাই এই পরিসংখ্যান নয়, জহিরকে মানুষ শ্রদ্ধা করে তাঁর সহজাত ব্যাটিং দক্ষতার কারণে। ১৬ বছর খেলে কেন এত কম টেস্ট খেলা আর কম রান করা? আফসোসটা জহিরেরও, ‘আমি গর্বিত যে এশিয়ার একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আমি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১০০টির ওপরে সেঞ্চুরি করেছি। কিন্তু ১৬ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেও আমি টেস্ট খেলেছি মাত্র ৭৮টি। ভালো হতো যদি আমার জন্ম সত্তরে হতো। তাহলে আমি হয়তো আরও বেশি টেস্ট খেলতে পারতাম এবং আরও অনেক রান করতে পারতাম। সম্ভবত আমার জন্মটা হয়েছিল ভুল সময়ে।’

No comments

Powered by Blogger.