পাকিস্তানে ২৯ সাংসদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জাল

পাকিস্তানে ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় ২৯ জন পার্লামেন্ট সদস্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ জমা দিয়েছিলেন। দেশটির উচ্চশিক্ষা কমিশনের এক তদন্তে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট ও পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটির নির্দেশে এ তদন্ত চালানো হচ্ছে। নির্দেশ অনুসারে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে দেশটির উচ্চশিক্ষা কমিশন। সম্প্রতি প্রায় ১২ জন পার্লামেন্ট সদস্যের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট ওই নির্দেশ দেন।
তদন্তের ব্যাপারে উচ্চশিক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা মাহমুদ রাজা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা পার্লামেন্ট সদস্যদের এক হাজার ৬৫টি সনদ হাতে পেয়েছি। ৫১১টি সনদের যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ২৯টি সনদ ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।’ রাজা অবশ্য ভুয়া সনদধারীদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, কমিশন কাল ১৬ জুলাই পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটি ও নির্বাচন কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেবে।
পার্লামেন্ট বিশ্লেষকেরা বলেছেন, যাঁদের শিক্ষাসনদ ভুয়া প্রমাণিত হবে তাঁদের সদস্যপদ এমনিতেই বাতিল হয়ে যাবে। এতে করে পাকিস্তানে আগাম নির্বাচন অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারে।
পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ নির্বাচনে দাঁড়ানোর শর্ত হিসেবে স্নাতক ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করেছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.