সাকলাইনের সাত, সেঞ্চুরি দেখছেন হাবিবুল

প্রথম রাউন্ডে সিলেটের বিপক্ষে পেয়েছিলেন ১১ উইকেট। ওই ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯ রানে নিয়েছিলেন ৭টি। কাল আবারও ৭ উইকেট পেলেন রাজশাহীর বাঁ হাতি স্পিনার সাকলাইন সজীব। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঢাকাকে ১৯৫ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে রাজশাহী। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কালকের দিনটি যদি হয় সজীবের, তাহলে ফতুল্লায় তা ছিল খুলনার অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের। তাঁর অপরাজিত ৮১ রানে দিন শেষে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান তুলেছে খুলনা। লিগের টানা চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরিটিকে তিন অঙ্কে টেনে নেওয়ার অপেক্ষায় আজ ব্যাট করতে নামবেন বাংলাদেশের সফলতম ক্রিকেট অধিনায়ক। রাজশাহীতে চট্টগ্রামের বোলারদের দাপটে ২০৭ রানে অলআউট সিলেট।
চট্টগ্রামে ঢাকার বিপর্যয়ের শুরু প্রথম ওভারেই। ওপেনার উত্তম সরকারকে (০) ফিরিয়ে যেটি শুরু করেন পেসার শাহাজাদা। তবে ঢাকাকে অল্প রানে মুড়ে দেওয়ার আসল কাজটি করেছেন সাকলাইন। ২৬ ওভারে ১টি মেডেনসহ ৮৫ রানে নেন ৭টি উইকেট। লিগে তিন ম্যাচে এখন পর্যন্ত ২৯ উইকেট নিয়ে উইকেটশিকারিদের তালিকায় শীর্ষে তিনি। ঢাকার হয়ে লড়েছেন আরেক পেসার শরীফউল্লাহ। ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। জবাবে দিন শেষে ২৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান তুলেছে রাজশাহী। ৩৫ রানে ব্যাট করছেন জহুরুল ইসলাম।
এবারের লিগের শুরু থেকেই রানের মধ্যে আছেন হাবিবুল বাশার। প্রথম রাউন্ডে ঢাকার বিপক্ষে ১৭ ও ৬৯, দ্বিতীয় রাউন্ডে সিলেটের বিপক্ষে করেছেন ৫১ ও ৫৭। কিন্তু ‘মিস্টার ফিফটি’ এবার যদি হাফ সেঞ্চুরির বৃত্ত থেকে বেরোতে পারেন! হাবিবুল ও ওপেনার নাজমুস সাদাতের জোড়া হাফ সেঞ্চুরির (৭৫) সুবাদে দিন শেষে খুলনার স্কোর ২৬৩/৫। বরিশালের আরাফাত সালাউদ্দিন নিয়েছেন ৩টি উইকেট।
চট্টগ্রামের বিপক্ষে সিলেটের হয়ে লড়েছেন দুই ভাই—গোলাম রহমান ও গোলাম মাবুদ। মাবুদের ৪৮ ও রহমানের ৪২ রানে ভর করে অলআউট হওয়ার আগে কোনোক্রমে দুশ পার করেছে তারা। সিলেটের ঘাতক ছিলেন চট্টগ্রামের পেসার তারেক আজিজ। ৪৭ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন তিনি। ইলিয়াস সানি, কাজী কামরুল ও ফয়সাল হোসেনের উইকেট ২টি করে। প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে ১ উইকেটে ২৯ রান করেছে চট্টগ্রাম।

No comments

Powered by Blogger.