দেশের নাগরিক সমাজের সক্রিয়তা বাড়ানো জরুরি

বিদেশি সাহায্যকে কার্যকর ও অর্থবহ করতে দাতাগোষ্ঠী ও সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের সক্রিয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বৈদেশিক সাহায্যের কার্যকারিতায় নাগরিক সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
উন্নয়ন গবেষণা সংগঠন ‘ভয়েস’ এবং ‘এইড অ্যাকাউনটেবিলিটি গ্রুপ’-এর যৌথ উদ্যোগে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজকদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত স্টিফান ফ্রোয়েন এবং ডেনমার্ক দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইয়ান মুলার হ্যানসেন। সভায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ।
স্টিফান ফ্রোয়েন বলেন, বিদেশি সাহায্য কার্যকর করতে প্রয়োজন সঠিক কর্মপরিকল্পনা, যেখানে নাগরিক সংগঠনগুলো নিজেদের কার্যক্রমকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, সাহায্যকে কার্যকর করতে সরকার ও দাতাগোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গির অনেক উন্নতি হয়েছে, কিন্তু স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা অর্জনে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
ইয়ান মুলার বলেন, বাংলাদেশ বৈদেশিক সাহায্যনির্ভর দেশ নয়, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিদেশি সাহায্য বাড়ছে। সরকারের উচিত, এই সাহায্য যাতে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা।
ডিএফআইডির বৈদেশিক সাহায্য কার্যকারিতাবিষয়ক উপদেষ্টা বো সান্ডস্টর্ম বলেন, দাতাদের সহায়তা মূলত দেশের নিজস্ব উন্নয়ন কৌশল ও পদ্ধতির সঙ্গে সংগতি রেখে করা উচিত।
আলোচক হিসেবে আরও বক্তব্য দেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, প্রিপ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক অ্যারোমা দত্ত, ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির প্রমুখ।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, সুপ্রর পরিচালক উমা চৌধুরী, স্পিড স্ট্রাস্টের দীপু শামসুল ইসলাম, চেঞ্জমেকার্সের তানবীর সিদ্দিকী প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.