সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

ওয়ানডের অভিষেকটা সুখকর ছিল না রায়ান হ্যারিসের। গত বছর জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওই ম্যাচে ১০ ওভারে দিয়েছিলেন ৫৪ রান। একটি উইকেট যদিও পেয়েছিলেন কিন্তু ওই পারফরম্যান্স দিয়ে জায়গা ধরে রাখা যেত না। ধরে রাখতে পারেনওনি। কিন্তু এক বছর পর হঠাত্ দলে জায়গা পাওয়া ডানহাতি এই পেসার নায়ক হয়ে গেলেন প্রত্যাবর্তন ম্যাচেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার ৪০ রানের জয়ে বড় ভূমিকাটা তাঁরই। পাকিস্তানকে ২৪৬ রানে থামিয়ে দিতে ৪৩ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এই জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২ ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তানের সামনে দিয়েছিল ২৮৭ রানের পাহাড়সমান এক লক্ষ্য। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে ৬০ রানে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় মোহাম্মদ ইউসুফের দল। পঞ্চম উইকেটে উমর আকমল ও ফাওয়াদ আলমের ৮৫ রানের জুটিটাই যা একটু আশা জোগায় তাদের। ৭৬ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন উমর। তবে তিনি নন, অস্ট্রেলিয়ার জন্য ব্যাট হাতে সত্যিকারের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি। সঙ্গে ছিলেন রানা নাভিদ। ব্যাটিং পাওয়ার প্লের প্রথম তিন ওভারেই তাঁরা ৩৭ রান তুলে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় শিবিরে। তবে আরও বড় হুমকি হয়ে ওঠার আগেই ৫৮ রানের এই জুটি ছিন্ন করেন হ্যারিস। দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড করে দেন আফ্রিদিকে। আফ্রিদি আউট (২৯ বলে ৪০ রান) হওয়ার পর ম্যাচ জেতা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়ার।
এর আগে টস জেতা অস্ট্রেলিয়া শন মার্শ (৮৩), মাইকেল ক্লার্কের (৮০) ফিফটিতে ৬ উইকেটে করে ২৮৬ রান। পিটার সিডলের পিঠের ইনজুরিতে তাঁরই বিকল্প হিসেবে দলে ডাক পাওয়া রায়ান হ্যারিসই হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ওয়েবসাইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২৮৬/৬ (মার্শ ৮৩, ক্লার্ক ৮০, হাসি ৪৯, ওয়াটসন ৩৩; গুল ২/৮০, নাভেদ ২/৫৭, আসিফ ১/৫১, আজমল ১/৪১)। পাকিস্তান: ৪৭.৪ ওভারে ২৪৬ (উমর ৫৯, আফ্রিদি ৪০, বাট ৩৪, নাভেদ ৩৩; হ্যারিস ৫/৪৩, ম্যাকে ৩/৪৮, ওয়াটসন ১/৬৬, হরিজ ১/৩৭)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রায়ান হ্যারিস।

No comments

Powered by Blogger.