ভারতের বিদায়

ওয়ান্ডারার্সে ভারত যখন বল করতে নামল, তার আগেই হয়তো সেঞ্চুরিয়ন থেকে পাকিস্তানের খবরটা নিয়ে রেখেছিল। মাঠেও হয়তো নিয়মিত ‘আপডেট’ পাচ্ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। শুরুর দিকে পাকিস্তানের বেঁধে দেওয়া মামুলি লক্ষ্য অনায়াসে তাড়া করছিল অস্ট্রেলিয়া। এ অবস্থায় ক্রমেই মিলিয়ে যাচ্ছিল ভারতের সেমিফাইনাল-ভাগ্য। কিন্তু হঠাত্ই ঘুরে গেল ম্যাচের পরিস্থিতি। জেগে উঠল ভারতের আশা। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না, টান টান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ বলে জিতল অস্ট্রেলিয়া। তার অর্থ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ভারতের বিদায়।
অস্ট্রেলিয়া হারলে ভারতের সুযোগ ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে নিজেদের কাজটা ভালোভাবেই শুরু করেছিল তারা। টস জিতে ব্যাট করতে পাঠানো হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে, ৩৬ ওভারে মাত্র ১২৯ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর অস্ট্রেলিয়া হারলে বড় জয় নিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যেতে পারত ভারত।
তা যখন হলো না, মনোবল বলে আর কিছু থাকে! ভারতীয়দের ব্যাটিং সেটাই যেন জানাচ্ছিল। পেটের পীড়ায় শেষ মুহূর্তে না খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া টেন্ডুলকারবিহীন ভারতের রানের চাকাটা বেশ আস্তেই ঘুরছিল। তিন উইকেট হারিয়ে জয় এল ৩২.১ ওভারে।
দুই উদ্বোধনী বোলার প্রাভিন কুমার আর আশীষ নেহরা ৩১ রান ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কোণঠাসা করে দলকে এনে দিয়েছিলেন দারুণ সূচনা। পরে বল হাতে তুলে নেন খোদ ধোনিও এবং প্রথম ওভারেই বোল্ড করে দিয়েছেন ট্রাভিস ডাউলিনকে! ওয়ানডের ইতিহাসে তৃতীয় উইকেটকিপার হিসেবে উইকেট পেলেন ধোনি। এটা নিছকই তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন। ওদিকে ৭ উইকেটে পাওয়া দলের এই জয়টাও শুধুই সান্ত্বনার। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায়ের পর ধোনিরাও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছেন, টুর্নামেন্টের আকর্ষণে ভাটাই পড়ে গেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৬ ওভারে ১২৯ (ফ্লেচার ০, পাওয়েল ৫, স্মিথ ২১, ডাওলিন ১৪, রেইফার ১, বার্নার্ড ২২, স্যামি ২৩, ক্র্যানডন ৫, মিলার ১৭*, রোচ ৪, টং ৫, অতিরিক্ত ১২। প্রাভিন কুমার ২২/৩, নেহরা ৩১/৩, হরভজন ১৪/২, মিশ্র ২৭/১, ধোনি ১৪/১)।
ভারত: ৩২.১ ওভারে ১৩০/৩ (দিনেশ কার্তিক ৩৪, গম্ভীর ৬, দ্রাবিড় ৪, কোহলি ৭৯*, নায়ার ০*। রোচ ২৭/১, টং ৩৬/১)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কোহলি (ভারত)।

No comments

Powered by Blogger.