আন্তর্জাতিক মান রক্ষা ছাড়া সরকার কোনো সহায়তা করতে পারবে না

বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান দেশের হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারকদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন চিংড়ি রপ্তানির পরামর্শ দিয়েছেন। তা না হলে রপ্তানি বাড়ানোর জন্য সরকার কোনো ধরনের সহায়তা করতে পারবে না বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার ঢাকায় আয়োজিত ‘বাংলাদেশের চিংড়ি রপ্তানি: সম্ভাবনা ও বাধাসমূহ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মত্স্য পণ্য ব্যবসা উন্নয়ন কাউন্সিল, বাংলাদেশ শ্রিম ও ফিশ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ হিমায়িত রপ্তানিকারক সমিতি ও বাজার উন্নয়ন ফোরাম যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে বাণিজ্যসচিব ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকায় ইউরোপীয় কমিশনের ডেলিগেশনপ্রধান স্টিফেন ফ্রোয়েন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মত্স্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ আলম এবং গ্লোবাল অ্যাকুয়াকালচার এলায়েন্সের চেয়ারম্যান জর্জ ক্যাম্বব্রিয়ান উপস্থিত ছিলেন।
ফারুক খান বলেন, চিংড়িশিল্পে দেশের প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে, যা বিশ্বমন্দার সময় দেশে বড় ধরনের সহায়তা করেছে। হিমায়িত খাদ্যের রপ্তানি আয় দ্বিগুণ করতে রপ্তানিকারকদের সরকার সব ধরনের সহায়তা দেবে বলে তিনি জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বমন্দার জন্য প্রণোদনা প্যাকেজের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চিংড়িতে ক্ষতিকারক নাইট্রোফোরান পরীক্ষার জন্য নতুন মেশিন ক্রয়বাবদ ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেমস এফ মরিয়ার্টি ইউরোপীয় ইউনিয়নে চিংড়ি রপ্তানিতে বাংলাদেশকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন।
এ ছাড়া পণ্যের গুণগতমান উন্নয়নের মাধ্যমেই কেবল দেশের চিংড়ি খাতের সমস্যা সমাধান সম্ভব বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের চিংড়ি খাতের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, অচিরেই বাংলাদেশের চিংড়ি খাতে সুদিন ফিরে আসবে। একই সঙ্গে এ খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়বে, যা দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বাড়াতে সহায়তা করবে।
জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেন, বাংলাদেশের চিংড়িশিল্পের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ‘পোভার্টি রিডাকশন বাই ইনক্রিজিং দি কম্পিটিটিভনেস অব এন্টারপ্রাইজ’ (প্রাইস) কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের চিংড়ি খাতের উন্নয়নে সহায়তা করছে। এতে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ চিংড়ি রপ্তানির মাধ্যমে আরও অতিরিক্ত ১০ কোটি ডলার আয় করতে পারবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্টিফেন ফ্রোয়েন বলেন, ভোক্তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশই গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য আমদানি করে থাকে।
এ ছাড়া পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্য দেশগুলো থেকে একই ধরনের মানসম্পন্ন পণ্য আমদানি করে থাকে।

No comments

Powered by Blogger.