অস্ট্রেলিয়াকেও কাঁপিয়ে দিয়েছিল উইন্ডিজ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে মূল দল না পাঠানোয় ক্রিকেট বিশ্বের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। তবে তাদের ‘বি’ দলটা যেভাবে খেলছে, তাতে স্বস্তিই বোধ করতে পারে বোর্ড। প্রথম ম্যাচে তারা যথেষ্ট বেগ দিয়েছিল পাকিস্তানকে। দ্বিতীয় ম্যাচে কাল কাঁপিয়ে দিয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকেও। স্কোরকার্ড বলছে ৫০ রানের অনায়াস জয়ই পেয়েছে রিকি পন্টিংয়ের দল। তবে জয়টা এতটা সহজ ছিল না। বোলিংয়ে একপর্যায়ে ১৭১ রানে অস্ট্রেলিয়ার ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিল তারা। আর ব্যাটিংয়ে ২৭৫ রান তাড়া করতে নেমে একপর্যায়ে ১৫ ওভারে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে প্রয়োজন ছিল ১১১ রান। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অভিজ্ঞতার কাছে হার মানতে হয়েছে ক্যারিবীয়দের।
ইনিংসের প্রথম বলেই কেমার রোচের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ওয়াটসন বোল্ড হওয়ার পর পন্টিং খেলেছেন ৭৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ১৭১ রানে ৭ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২৭৫-এ নিয়ে যাওয়ার মূল কৃতিত্ব মিচেল জনসনের। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন আরেক পেসার ব্রেট লিকে। অষ্টম উইকেটে ৭০ রানের আক্রমণাত্মক এক জুটি গড়ে স্কোরবোর্ডের চেহারা বদলে দেন এই দুজন। ৪০ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটিতে পৌঁছানো জনসনের ৪৭ বলে করা ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ছক্কা ৩টি। এই বাঁহাতির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ ৮ ওভারে ৯৯ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া।
৫.৪ ওভারে ৩৮ রান তুলে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার ডেভন স্মিথ ও আন্দ্রে ফ্লেচার। দ্বিতীয় উইকেটে ট্রাভিস ডাওলিনকে নিয়ে আরও ৮৪ রান যোগ করেন ফ্লেচার। আরও একবার অস্ট্রেলিয়ার ত্রাণকর্তা হয়ে ফ্লেচারকে (৫৪) সরাসরি থ্রোতে রান আউট করে বিপজ্জনক এই জুটি ভাঙেন জনসন। ব্যাটিং পাওয়ার প্লের (ইনিংসের ৩৭তম) প্রথম ওভারেই ৫৫ রান করা ডাওলিন আউট হলে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় ক্যারিবীয়দের হার। শেষ চার উইকেট হারায় তারা ১০ রানে। ইনজুরির জন্য ব্যাট করতে পারেননি ওপেনার ডেল রিচার্ডস। ইএসপিএন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২৭৫/৮ (পন্টিং ৭৯, জনসন ৭৩*, পেইন ৩৩, লি ২৫; মিলার ২/২৪, বার্নার্ড ২/৬৩, রোচ ২/৭৩)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৬.৫ ওভারে ২২৫ (ডাওলিন ৫৫, ফ্লেচার ৫৪, হরিজ ২/২৩, ওয়াটসন ২/৩৪, সিডল ২/৩৭)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৫০ রানে জয়ী ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মিচেল জনসন

No comments

Powered by Blogger.