বিদেশি সাহায্য-প্রবাহ কমেছে

বাংলাদেশে গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বিদেশি সাহায্য এর আগের অর্থবছরের তুলনায় কমে গেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিসংখ্যান থেকে এ হিসাব পাওয়া গেছে।
এতে দেখা যায়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ১৬৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বিদেশি সাহায্য এসেছে। এর মধ্যে আবার পুরোনো ঋণের মূল্য বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে ৬৪ কোটি ১০ লাখ ডলার।
ফলে গত অর্থবছরে বিদেশি সাহায্যের প্রকৃত বা নিট প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১০২ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
এর আগের বছর অর্থাত্ ২০০৭-০৮ অর্থবছরে মোট বিদেশি সাহায্য-প্রবাহ ছিল ১৯৫ কোটি ৬৭ লাখ ডলার।
আর সেই বছর বকেয়া বিদেশি ঋণের মূল্য বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছিল ৫৮ কোটি দুই লাখ ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা।
ফলে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে নিট বা প্রকৃত বিদেশি সাহায্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৩৭ কোটি ৬৫ লাখ ডলার।
গত অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি অর্থায়ন কম হওয়ায় এতে বিদেশি অর্থায়নের পরিমাণও কম ছিল।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, গত অর্থবছর মোট সাহায্যের মধ্যে প্রকল্প সাহায্যের পরিমাণ ছিল ১৬২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। বাকি তিন কোটি ৭৫ লাখ ডলার এসেছে খাদ্য সহায়তা হিসেবে। পণ্য সহায়তা বাবদ কোনো বিদেশি সাহায্য পাওয়া যায়নি।
বস্তুত, গত চার অর্থবছরে দেশে কোনো পণ্য সাহায্য আসেনি। সর্বশেষ ২০০৪-০৫ অর্থবছরে মোট দুই কোটি ২০ লাখ ডলারের বিদেশি সাহায্য এসেছিল।
বিশ্বমন্দার প্রভাবে ভবিষ্যতে বিদেশি সাহায্য আরও কমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, মন্দা মোকাবিলায় জি-২০ জোট এক লাখ ১০ হাজার কোটি ডলারের (১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন) সহায়তা প্যাকেজ থেকে বাংলাদেশ কিছু সহায়তা পাবে।
২০০৯-১০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এই অর্থায়ন কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশও তার ন্যায্য হিস্যা পাবে। বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক জি-২০ সম্মেলনের উদ্যোগ অনুসরণ করে বিশ্বমন্দা মোকাবিলার লক্ষ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নানাভাবে সাহায্য করার কার্যক্রম নিয়েছে এবং বাংলাদেশ এসব কার্যক্রম থেকেও বাজেট সহায়তা পাবে বলে আশা করি।’

No comments

Powered by Blogger.