শহীদ মিনারে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মরদেহ

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়া হয়। সেখানে তাকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এরপর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে শ্রদ্ধা জানানো হবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী গত মঙ্গলবার ( ৬ মার্চ) রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও লিভার, কিডনি ও থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ৮ নভেম্বর বাথরুমে পড়ে গিয়ে পায়ে গুরুতর আঘাত পান তিনি।
সেসময় তাকে হাসপাতালে নিয়ে কয়েক দফা চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রিয়ভাষিণী বাংলাদেশের ভাস্কর্য চর্চায় ব্যতিক্রমী একজন শিল্পী ছিলেন। দামি জিনিসের পরিবর্তে চারপাশে পাওয়া ডাল, পাতা, কাঠের টুকরা, শেকড়, গাছের গুড়িকে তুলে এনে শিল্পে রূপ দিতেন। শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১০ সালে তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক 'স্বাধীনতা পুরস্কার' প্রদান করা হয়। একাত্তরের নির্মম ইতিহাসের প্রত্যক্ষ সাক্ষী ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার।

No comments

Powered by Blogger.