চার দিনেও ছাড়েনি বিজিবি সদস্যকে, বৈঠকেও সাড়া দিচ্ছে না মিয়ানমার

মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশ (বিজিপি) কর্তৃক অপহৃত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক আবদুর রাজ্জাককে চার দিন পার হয়ে গেলেও ফেরত দেয়নি মিয়ানমার পুলিশ। এমনকি ফেরত দেয়ার বিষয়ে পতাকা বৈঠকেও সাড়া দিচ্ছে তারা। ঘটনার চার দিন পার হয়ে গেলেও এখনো দু’ দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়নি। এদিকে মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া বিজিবি সদস্য নায়েক আবদুর রাজ্জাককে হাতকড়া পড়িয়ে ফেইসবুকে ছবি প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ। বিজিবি সদস্য রাজ্জাককে মিয়ানমারের একটি সীমান্ত ক্যা¤েপ হাতকড়া পড়ে আটকে রাখা হয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে নায়েক রাজ্জাকের মুখম-লে রক্তের দাগ রয়েছে। ছবিতে নায়েক রাজ্জাকের সামনে ১টি এম ২২ রাইফেল, গুলি, ৪টি মোবাইল সেট ও ২টি টর্চ লাইট দেখা গেছে। বিজিবি নায়েক রাজ্জাককে হাতকড়া দিয়ে অমানবিক ভাবে আটকে রাখায় বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ৪২ বিজিবির অধিনায়েক লে.কর্নেল আবু জার আল জাহিদ ঘটনার পর থেকে যে কোন সময়য়ে পতাকা বৈঠক হতে পারে বলে দাবি করে আসলেও চার দিন পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।
লে. কর্নেল আবু জার আল জাহিদ বলেন, নাফনদীতে গুলি বর্ষণ ও  নিয়ে যাওয়া নায়েক রাজ্জাককে ফেরতের বিষয়ে বৃহ¯পতিবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার টেকনাফে স্থলবন্দর রেস্ট হাউজে মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশ (বিজিপি) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা  থাকলেও তা হয়নি। মিয়ানমার পুলিশ বৃহস্পতিবার পতাকা বৈঠকে আসার কথা ছিল শেষ পর্যন্ত তারা মিয়ানমার উধ্বর্তন কতৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় তারা আসেনি বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার সঙ্গে আজ (শনিবার) যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা এখনও কোন সাড়া দেয়নি। তারা ঊধ্বর্তন কতৃপক্ষের অনুমতি পেলে বৈঠকে আসবে বলে বিজিবিকে জানিয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যহত রয়েছে। মিয়ানমার পক্ষ সাড়া দিলে পতাকা বৈঠক মাধ্যমে নায়েক রাজ্জাককে ফেরত আনা হবে বলে জানান কর্নেল আবু জার আল জাহিদ।
গত বুধবার সকালে নাফ নদীতে বাংলাদেশের জলসীমায় দুটি নৌকায় তল্লাশি চালায় টহলরত বিজিবির একটি দল। এ সময় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি পূর্ব দিক থেকে একটি ট্রলারে করে এসে বিজিবির টহল দলের ওপর বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবির সিপাহি বিপ্লব কুমার (২১) গুলিবিদ্ধ হন। একপর্যায়ে আহত বিপ্লব কুমারকে নিয়ে বিজিবি দল নিরাপদ অবস্থানে চলে এলেও অপর সদস্য নায়েক আবদুর রাজ্জাককে তুলে নিয়ে যায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
এদিকে গোলাগুলির এই ঘটনাকে ভুল বোঝাবুঝি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, টেকনাফে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) গুলি চালিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.