সংস্কার শেষে ফের চালু হলো জেদ্দার প্রাচীনতম মসজিদ

সংস্কার কাজ শেষে ফের চালু হচ্ছে জেদ্দার প্রাচীনতম মসজিদ। আল শাফিঈ নামের এ মসজিদটি ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদটি নতুন করে উদ্বোধন করা হয়। এ খবর দিয়েছে সৌদি গেজেট। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিদের তালিকায় ছিলেন, কিং আবদুল্লাহ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর চ্যারিটি অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান ডিডস-এর চেয়ারম্যান প্রিন্স খালিদ বিন আবদুল্লাহ, ন্যাশনাল গার্ড মন্ত্রী প্রিন্স মিতেব বিন আবদুল্লাহ, সৌদি কমিশন ফর ট্যুরিজম অ্যান্ড অ্যান্টিকুইটিস-এর প্রেসিডেন্ট প্রিন্স সুলতান বিন সালমান এবং জেদ্দার গভর্নর প্রিন্স মিশাল বিন মাজেদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে যোগ দেন, ইসলাম বিষয়কমন্ত্রী শেখ সালেহ্‌ বিন আবদুল আজিজ আল-আশেখ, জেদ্দার মেয়র হানি আবু রাস সহ জেদ্দার বহুসংখ্যক শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ী। আল-শাফিঈ মসজিদটি আল মাজলৌম জেলায় অবস্থিত। ধারণা করা হয়, ১২৫০ সালে বাদশাহ দ্বিতীয় সুলায়মান বিন সাদুদ্দিন শাহেন শাহ্‌-এর আমলে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৫৩৩ সালে এক ভারতীয় বণিক আল-খাজা মোহাম্মদ আলী মসজিদটির সংস্কার করেন।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রিন্স সুলতান বিন সালমান বলেন, ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হলো ঐতিহাসিক মসজিদগুলোর সংস্কার করা।
আমরা ইতিমধ্যে অনেকগুলো সংস্কার করেছি। কিন্তু এখনও অনেকগুলো মসজিদের সংস্কার কাজ বাকি রয়েছে। তিনি সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করেন। আর আল-শাফিঈ ও আল-মেমার মসজিদ দুটি সংস্কারে সহায়তার জন্য প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রিন্স সুলতান বলেন, প্রয়াত বাদশাহ্‌ আবদুল্লাহ জেদ্দার প্রাচীনতম দুটি মসজিদ আল শাফিঈ ও আল মেমার সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর এজন্য ৭০ লাখ সৌদি রিয়াল বাজেটের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রিন্স সুলতান আরও ঘোষণা দেন যে, তার নিজ খরচে ঐতিহাসিক হানাফি মসজিদ সংস্কারের জন্য অনুমতি দিয়েছেন বাদশাহ সালমান। এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে দেশের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবদুল আজিজ। এখানে তিনি দেশের নাগরিকদের সঙ্গে দেখা করতেন। তাদের কথা শুনতেন। প্রিন্স আরও ঘোষণা দেন তার মা প্রিন্সেস সুলতানাহ আল সুদাইরির জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে উসমান বিন আফফান মসজিদের সংস্কার করবে। জেদ্দার ঐতিহাসিক এলাকায় ৪০টি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনাও প্রকাশ করেন প্রিন্স সুলতান।

No comments

Powered by Blogger.