সঙ্কটে অর্থনীতি- ২০,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি by এমএম মাসুদ ও হামিদ বিশ্বাস

রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতাল-অবরোধে সঙ্কটে পড়েছে অর্থনীতি। বছরের শুরুতে টানা কর্মসূচিতে ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। স্থবিরতা নেমে এসেছে উৎপাদন খাতে। আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে ধস নেমেছে। স্থবির হয়ে পড়েছে পরিবহন খাত। ব্যাংক ও আর্থিক খাতে লেনদেন কমে গেছে। কমে গেছে অর্থের প্রবাহ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থনীতির সব খাতে প্রতিদিন অন্তত ১৫০০-২০০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এ হিসাবে গত ১২ দিনের রাজনৈতিক সংঘাতে আর্থিক খাতেই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৬ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পোশাক খাতের। একই সঙ্গে গ্রাম-গঞ্জের কৃষকদের হচ্ছে রক্তক্ষরণ। ব্যবসায়ীরা জানান, এভাবে চলতে থাকলে তাদের পথে বসতে হবে। শ্রমিকদের বেতন দেয়া সম্ভব হবে না। আর এতে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন মালিকরা। এ ছাড়া মাসের পর মাস স্বাভাবিকের তুলনায় কম উৎপাদন হলে দীর্ঘ মেয়াদি সঙ্কটে পড়তে পারে দেশ। অন্যদিকে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় ক্রেতা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, গত কয়েক বছরে উৎপাদন খাতের বেশির ভাগ অংশ পোশাক খাতসহ এ শিল্পগুলো আর্থিক খাতের তুলনায় ভাল ব্যবসা করেছে। এটি উদ্যোক্তাদের উৎপাদন খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করেছে। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে উৎপাদন খাতের বেশ কয়েকটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কিন্তু লাগাতার হরতাল-অবরোধ শুরু হওয়ায় সামগ্রিক অর্থনীতির বিবেচনায় উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়া অস্থিতিশীল রাজনীতি চলমান থাকায় এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা নিয়মিত কারখানায় আসতে পারছেন না। এর সঙ্গে এ শিল্পের মূল মসলা আমদানি করা কাঁচামালের চালান বন্দর থেকে খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে উৎপাদন খাতে এক ধরনের স্থবিরতা তৈরি হয়েছে বলে তারা মনে করেন।
জিডিপিতে শিল্পের ক্ষতি: একদিনে সারা দেশের শিল্প খাতে কি পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে এর সঠিক কোন পরিসংখ্যান ও গবেষণা পাওয়া যায়নি। তবে জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান থেকে একদিনের হিসাবকে লোকসান হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আর্থিক পরিমাণের দিক থেকে দেশজ মোট উৎপাদন (জিডিপি) আকার হচ্ছে ১৩ লাখ ৫০,৯২০ কোটি টাকা। জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান হচ্ছে ৮.৬৮ শতাংশ। ওই হিসাবে মোট জিডিপির ১ লাখ ১৭,২৬০ কোটি টাকা হচ্ছে শিল্প খাতের অবদান। এটি পুরো এক বছরের হিসাব। বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩০০ দিন শিল্পকারখানা খোলা থাকে। ওই হিসাবে একদিনে জিডিপিতে শিল্প খাতের হচ্ছে ৩৯০ কোটি টাকা। ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা বলছেন, পুরো এক দিন উৎপাদন বন্ধ থাকলে জিডিপিতে শিল্প খাতের একদিনের প্রায় ৪০০ কোটি টাকার অবদান কম হয়। এটি শিল্পদ্যোক্তাদের লোকসান।
পোশাক খাত: ঘন ঘন হরতালের কারণে বাংলাদেশের পোশাক খাতের উৎপাদন ব্যাপক হারে পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করছে বিজিএমইএ। সংগঠনটির মতে, যে শিল্পখাতকে কেন্দ্র করে দেশে বিভিন্ন ফরোয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পখাত বিশেষ করে সুতা, বোতাম, জিপার, ডাইং, ফিনিশিং, পলিব্যাগসহ বিভিন্ন এক্সেসরিজ শিল্প গড়ে উঠেছে; সহায়ক শিল্প হিসেবে ব্যাংক-বীমা, শিপিং, সিঅ্যান্ডএফ, সেবাখাত, পর্যটন, হোটেল, পরিবহন, আবাসন, তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাত প্রসার লাভ করেছে। এগুলো ধবংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়াবে। সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, গত ১২ দিনে এ পর্যন্ত ক্ষতি হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২,৬০০ কোটি ডলার। সেই অনুযায়ী এক দিনের অবরোধ বা হরতালে ৬৯৫ কোটি টাকার পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়। অবরোধের কারণে ৫০ শতাংশ উৎপাদনই ব্যাহত হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকার। শুধু গত ডিসেম্বরের প্রথম ১৫ দিনেই বিজিএমইএ’র ২৬টি সদস্য কারখানার ৩৩ লাখ ডলারের অর্ডার বাতিল, ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ডলারের ডিসকাউন্ট, ১০ লাখ ৫৪ হাজার ডলারের এয়ার শিপমেন্ট ও ৭৪ লাখ ডলারের শিপমেন্ট বিলম্বিত হয়েছে। বিকেএমইএ মনে করে, নিট শিল্পের উৎপাদনের ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে এ শিল্পের মাঝারি ও ছোট কারখানাগুলোর রুগ্‌্‌ণ শিল্পে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। শুধু তাই নয়, হরতালের কারণে আমদানি করা কাঁচামালের চালান বন্দর থেকে খালাস করা সম্ভব হয় না। বিকেএমইএ নেতা মোহাম্মদ হাতেম বলেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বিনিয়োগ, রপ্তানি এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিতভাবেই হুমকির মুখে পড়বে। এফবিসিসিআইয়ের তথ্য মতে, পোশাক খাতে প্রতিদিন ক্ষতি হয়েছে ৩৬০ কোটি।
বাংলাদেশ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিইএ) সভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেন, অনেক কারখানা তাদের উৎপাদন সচল রাখতে পারছে না। এটি উদ্যোক্তাদের লোকসান। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত এই লোকসানে রপ্তানি আয় নেতিবাচক ধাক্কা খাবে।
সিরামিক: সিরামিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ সিরামিক ওনার্স ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিডব্লিউএমএ) তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে টাইলসের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও রপ্তানি দুই-ই উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে স্থানীয় বাজারে সিরামিক টাইলসের চাহিদা আগের অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে ৪২ শতাংশ। ২০১১-১২ অর্থবছরে চাহিদা বৃদ্ধির হার ছিল ২৭.৮৪ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা জানান, এমনিতেই নানামুখী সমস্যায় দেশের সম্ভাবনাময় রপ্তানিমুখী সিরামিক শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদিত পণ্য রপ্তানিতে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। মীর সিরামিকের এক কর্মকর্তা বলেন, সিরামিক খাতের কাঁচামাল পুরোটাই আমদানিনির্ভর। কিন্তু টানা হরতাল-অবরোধের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় উৎপাদন ৩০ শতাংশে নেমে গেছে। এতে করে প্রতিদিন ২০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
ওষুধ: চাহিদার ৯৫ ভাগ ওষুধই এখন উৎপাদন হচ্ছে দেশে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ৯৩টি দেশে। টাকার পরিমাণে গত অর্থবছর রপ্তানি হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার ওষুধ। ওষুধ রপ্তানিতে ২০১১-১২ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি করে ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার আয় করে বাংলাদেশ। ওষুধ শিল্প সমিতির নেতারা বলেন, লাগাতার হরতাল-অবরোধ অব্যাহতভাবে চলতে থাকলে সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। তারা জনান, ওষুধ শিল্পে কিছু সমস্যা আছে সেটি কাটিয়ে উঠতে পারলে এ শিল্প অনেক এগিয়ে যাবে।
পরিবহন খাত: সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই থেকে জানানো হয়েছে, অবরোধ ও হরতালে প্রতিদিন দেশের অর্থনীতিতে কেবল ব্যবসায়ীদের ক্ষতি দেখিয়েছে ১৫০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত ১০ দিনে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থনীতির এ ক্ষয়ক্ষতি থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত রাখতে রাজনীতিবিদদের হরতাল ও অবরোধ প্রত্যাহারে আহ্বান জানিয়েছে তারা।  পণ্য পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিকদের দুই সংগঠন বলছে, অবরোধের কারণে পণ্য পরিবহন খাতে প্রতিদিন অন্তত ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যান ট্রাক পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব বলেন, প্রতিটি গাড়িতে খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন আয় হয় আড়াই হাজার টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে যদি ৪০ হাজার গাড়ি না চলে তাহলে অন্তত ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এর সঙ্গে শ্রমিকের মজুরিসহ আরও কিছু খরচ প্রতি মাসে দিতে হয়। আমাদের হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ১৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, সারা দেশে বাস-ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে ৩ লাখ। এর মধ্যে প্রতিদিন আড়াই লাখ বাস-ট্রাক চলাচল করে। প্রতিটি গাড়ি থেকে গড়ে ৮ হাজার টাকা আয় ধরা হলে দৈনিক ২০০ কোটি টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মালিকরা।
পর্যটন খাত: বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান খান কবির বলেন, টানা অবরোধে ফাঁদে একশ’ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, টুরিস্টরা বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে আসছেন না। ইতিমধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার ট্যুরিস্ট তাদের ভ্রমণ বাতিল করেছেন। শিগগিরই এর সমাধান না হলে পর্যটন খাত এ মওসুমে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আর যদি হোটেলের হিসাব ধরা হয় তাহলে ক্ষতির পরিমাণ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এফবিসিসিআই জানায়, কক্সবাজারের ২০০ থেকে ৩০০ হোটেল পর্যটকশূন্য। এ খাতে ক্ষতির পরিমাণ হচ্ছে ৫০ কোটি টাকা। আর সিপিডির হিসাব অনুসারে একদিনের হরতালে পর্যটন খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।
কৃষি খাত: কৃষি খাতও এখন বিপর্যস্ত। পরিবহন ব্যবস্থার অভাবে কোটি কোটি টাকা মূল্যের কৃষিপণ্য বিনষ্ট হচ্ছে এবং কোথাও বাজারমূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে কৃষকরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ খাতে এক দিনের হরতালে ক্ষতি হয় ২৮৮ কোটি টাকা। শ’ শ’ টন শীতকালীন সবজি ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। শীতকাল সামনে রেখে যে স্বপ্ন তারা বুনেছিলেন, তা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। সিপিডির হিসাব অনুসারে একদিনের হরতালে কৃষির ক্ষতি হয় ২৮৮ কোটি টাকা।
বেড়েছে ভাড়া: অবরোধের আগে গত মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে পণ্য পরিবহন করত ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান। এখন এসব যান পণ্য পরিবহন করতে ভাড়া হাঁকছে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। মাঝে এক দিন ২০ থেকে ২২ হাজার টাকায় পণ্য পরিবহন করেছেন ট্রাকমালিকেরা। একইভাবে বেনাপোল থেকে পণ্যবোঝাই একটি ট্রাক অবরোধের আগে এসেছিল ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকায়। এখন আসছে ১৮ থেকে ২২ হাজার টাকায়। রংপুরে যে অল্প কিছু পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করছে, তারা এখন ভাড়া হাঁকছে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা।
জ্বালানি ও এলপি গ্যাসের তীব্র সঙ্কট: দেশে এখন চলছে সেচ মওসুম। কিন্তু টানা অবরোধের কারণে ভেঙে পড়েছে জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জানিয়েছে, তেলের উৎপাদনে কোন ঘাটতি নেই। বর্তমানে বেশির ভাগ জেলায় মজুদকৃত জ্বালানি দিয়ে চাহিদা মেটানো হচ্ছে। তবে গত ১০ দিন ধরে চট্টগ্রাম থেকে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে তেল সরবরাহ। ফলে দাম বাড়তে শুরু করেছে। এটা অব্যাহত থাকলে দেশব্যাপী বিপর্যয় নেমে আসবে। এতে বন্ধ হওয়ার উপক্রম তেলের পাম্পগুলো। ওদিকে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় লিকুইড পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী এক সপ্তাহ এ অচলাবস্থা বিরাজ করলে দোকানগুলো গ্যাসশূন্য হয়ে পড়বে। এতে জনগণের দুর্ভোগ বাড়বে বহুগুণে।
২০১৩ সালের ক্ষয়ক্ষতি: ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে ৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত হরতাল-অবরোধের ক্ষয়ক্ষতির একটা হিসাব তৈরি করে মালিক সমিতি। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত সেই হিসাব অনুযায়ী, ওই সময় ১৪ মাসের হরতাল-অবরোধে বাস-ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানসহ ৩ লাখ বাণিজ্যিক পরিবহন চলাচল করতে না পারায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়। এসব যানবাহনের সঙ্গে ২৫ লাখ পরিবার জড়িত। পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ততা ধরলে এই খাতের অন্তত ১ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এসব পরিসংখ্যানের উৎস ও বিস্তারিত জানাতে পারেননি বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির নেতারা।

No comments

Powered by Blogger.