বেলজিয়ামে পুলিশের গুলিতে দুই ‘জঙ্গি’ নিহত

বেলজিয়ামের ভের্ভিয়ে শহরে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের সঙ্গে
গোলাগুলির পর পুলিশের সতর্ক পাহারা। ছবি: এএফপি
এবার ফ্রান্সের পাশের দেশ বেলজিয়ামে সন্দেহভাজন জঙ্গি ও পুলিশের সংঘাত হলো। এ ঘটনায় নিহত হয়েছে সন্দেহভাজন দুই জঙ্গি। বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনার সময় আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরেকজনকে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ১২ জনকে। বেলজিয়ামের ওই ঘটনার পর জার্মানি ও ফ্রান্সের কর্মকর্তারা অন্তত ১৪ জন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছেন। প্যারিসে গত সপ্তাহেই বন্দুকধারীদের হাতে ১৭ জন নিহত হওয়ার পর এসব ঘটনায় ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ বেড়ে গেছে। বেলজিয়ামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে। খবর এএফপি, বিবিসি ও সিএনএনের। বেলজিয়ামের কর্মকর্তারা জানান, একটি সন্ত্রাসবাদী হামলার ষড়যন্ত্র হয়েছে এ রকম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার বড় ধরনের অভিযান শুরু করে। এর আওতায় ওই দিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পূর্বাঞ্চলীয় ভের্ভিয়ে শহরে অভিযান চালায়। জার্মানির সীমান্তবর্তী ভের্ভিয়ে শহরের ওই ঘটনায় জঙ্গিদের দলটিতে কমবেশি ১০ জন ছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজন সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেেটর (আইএস) পক্ষে লড়াই করে ফিরে আসা। বেলজিয়ামে মারাত্মক কোনো সন্ত্রাসী হামলা চালানোর দ্বারপ্রান্তে ছিল তারা। পুলিশ জানিয়েছে, তল্লাশির সময় কয়েকজন সন্দেহভাজন বিশেষ বাহিনীকে লক্ষ্য করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত গুলি ছোড়ে। এরপর কয়েক মিনিট ধরে বন্দুকযুদ্ধ চলে।
এতে দুই সন্দেহভাজন নিহত হয়। তৃতীয় একজনকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনার পর বেশ কিছু অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চারটি কালাশনিকভ (একে-৪৭) রাইফেল ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার পর রাজধানী ব্রাসেলস ও এর আশপাশসহ বিভিন্ন এলাকায় বড় ধরনের তল্লাশি অভিযানে নামে পুলিশ। এসব অভিযানের সময় গ্রেপ্তার করা হয় সন্দেহভাজন আরও ১২ জনকে। কেন্দ্রীয় সরকারি কৌঁসুলি এরিক ভন দার সিপ্ত বলেছেন, ওই বন্দুকধারীদের লক্ষ্য ছিল সড়কে বা থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যদের হত্যা করা। চলমান তল্লাশি অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ১২টি বাড়িতে তল্লাশি শেষ করেছি। ’ তিনি জানান, তদন্তকারীরা এখন পর্যন্ত এসব ঘটনার সঙ্গে গত সপ্তাহে প্যারিসে হামলার যোগসূত্র পাননি। প্যারিসে গ্রেপ্তার ১২: ফ্রান্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা গত সপ্তাহে প্যারিসে পুলিশের গুলিতে নিহত তিন বন্দুকধারীর একজন আমেদি কুলিবালির সহযোগী বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার প্যারিসের একটি রেলস্টেশন বোমা হামলার হুমকির প্রেক্ষাপটে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে প্যারিসের বাইরে কোলম্ব শহরে গতকাল একটি ডাকঘরে দুই ব্যক্তিকে জিম্মি করে একজন বন্দুকধারী। তবে কিছুক্ষণ পর সে আত্মসমর্পণ করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে। জার্মানিতে গ্রেপ্তার ২: জার্মানির কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা তুরস্কের নাগরিক।

No comments

Powered by Blogger.