মিছিরনকে সিডনি প্রবাসীর সহায়তা

৮৪ বছর বয়সেও বয়স্ক, বিধবা ভাতা কিছুই পান না মিছিরন বিবি। অশীতিপর এই বৃদ্ধার নেই মাথা গোঁজার মতো কোন ঠাঁই। নিদারুণ শীতে মিলেনি একখণ্ড শীতবস্ত্রও। হাওর উপজেলা ইটনার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের হতদরিদ্র মিছিরন বিবির দুঃসহ জীবনযন্ত্রণার খোঁজও এতদিন কেউ নেয়নি। ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুকেই নিয়তি হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন তিনি ভালভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখেন। গত ১১ই জানুয়ারি দৈনিক মানবজমিন-এ ‘শান্তিপুরের মিছিরন’ শিরোনামে প্রকাশিত সচিত্র প্রতিবেদন বদলে দিয়েছে তার জীবন। প্রতিবেদনটি মানবজমিন অনলাইনে দেখার পর তার সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনি প্রবাসী নাজির দেওয়ান। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি মিছিরন বিবিকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন। এছাড়া মিছিরন বিবি যেন শিগগিরই বয়স্ক ভাতা পেতে পারেন, সে উদ্যোগও নেয়া হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যানের তরফে। জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনির উদ্দিন জানান, মিছিরন বিবির সংবাদটি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় পড়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে প্রবাসী নাজির দেওয়ান তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তিনি মিছিরন বিবিকে সহায়তা প্রদানের ইচ্ছা ব্যক্ত করে তার সহায়তা চান। পরে তিনি ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে তার কাছে ৬ হাজার ৩৪০ টাকা পাঠান। সে টাকা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি মিছিরন বিবির হাতে তুলে দিয়েছেন। সিডনি প্রবাসী নাজির দেওয়ান বাংলাদেশের নোয়াখালী অধিবাসী বলেও ইউপি চেয়ারম্যান মনির জানান। সিডনি প্রবাসীর আর্থিক সহায়তা এবং ইউপি চেয়ারম্যানের বয়স্ক ভাতা কার্ডের আশ্বাসে দারুণ খুশি মিছিরন বিবি। এজন্য তিনি দৈনিক মানবজমিন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। মিছিরন বিবি বলেন, মানবজমিন পেপারে আমারে বাঁচনের আশা দিছে। আল্লাহর ঠাই দোয়া করি, পেপারের মানুষরার যাতে বালা অয়।

No comments

Powered by Blogger.