‘আওয়ামী লীগ-বিএনপি দেশ পরিচালনার নৈতিকতা হারিয়েছে’ -আসম আবদুর রব

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পরস্পরের নেতৃত্ব সম্পর্কে শুধু যে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভুত নোংরা গালাগাল করছেন তা সাধারণ সভ্যতা বহির্ভুত। যে দুই বড় দল এ ধরণের অপরাজনৈতিক সংস্কৃতির বিস্তার করতে পারে তাদের দেশ পরিচালনার কোন নৈতিক অধিকার নেই। দেশকে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যে এগিয়ে নেয়ার জন্য পুরনো রাষ্ট্রব্যবস্থাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান ঘটাতে হবে। সরকারের অবৈধ নির্বাচন-দুর্নীতি-কুশাসনের বিপরীতে জনগণের রায়-জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন আওয়ামী-বিএনপি জোটের বিকল্প তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা। শুক্রবার দলটির কার্যকরি সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি আসম আবদুর রব। সভায় আরও কয়েকটি প্রস্তাব গৃহিত হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, বিএনপি কর্তৃক তত্বাবধায়ক সরকারকে দলীয়করণ করার চেষ্টা এবং আওয়ামী লীগ কর্তৃক পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে নির্বাচনের নামে ভোটারবিহীন ও সিলেকটেড এমপি নির্বাচনের প্রহসন চালিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে রাখা হয়েছে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব ও প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ব্যবহার করে দখল করে রাখতে চাইছে। ঢাকায় বিরোধী দল যাতে সভা, সমাবেশ ও মিছিল, মিটিং করতে না পারে তার ব্যবস্থা করেছে। সারাদেশে হত্যা, খুন, লুটপাট, চাঁদাবাজী, দখলবাজীর মাধ্যমে জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে জনগণ অতীত কর্মকান্ডের জন্য বিএনপিকেও বিশ্বাস করে না। এ প্রশ্নেও তৃতীয় শক্তির কোন বিকল্প নেই।
সভার অপর এক প্রস্তাবে পাকিস্তানের পেশোয়ারে জঙ্গীবাদীদের হামলায় ১৩২জন শিক্ষার্থীর জীবননাশ ও ১৪২জনকে আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে বর্বরতম কান্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সভায় বলা হয়, মৌলবাদী শাখা-প্রশাখা উপমহাদেশের সব দেশেই রয়েছে বলে গোয়েন্দারা দাবি করছেন। তাই এখন থেকে বাংলাদেশেও এ বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে।
সুন্দরবনে তেলের ট্যাংকার ডুবে তেল ছড়িয়ে পড়া বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ম্যানগ্রোভ বনকে ধ্বংস করার কোন ষড়যন্ত্র আছে কি-না তা খতিয়ে দেখার জন্য জাতীয় আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয় সভায়।
আ স ম আবদুর রব এর সভাপতিত্বে এ সভায় বক্তব্য রাখেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, এম এ গোফরান, আতাউল করিম ফারুক, মো: সিরাজ মিয়া,শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সোহরাব হোসেন, ডা: জবিউল হোসেন, জিয়া খোন্দকার, আশীষ কুমার সরকার,কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, আহসান উদ্দিন চৌধুরী সুইট, আবদুর রাজ্জাক রাজা, আবদুল জলিল চেয়ারম্যান, আমিন উদ্দিন বি এস সি, আবদুল মান্নান মাষ্টার, নুরুল ইসলাম মাষ্টার,সুলতান আহমেদ চেয়ারম্যান, লোকমান হাকিম, আতাউল্যাহ বিশ্বাস কচি, সাইফুর রহমান মিঠু, আবদুল লতিফ খান প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.