বোকো হারামের হামলায় নিহত ৩২, অপহৃত ১৮৫

নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বর্নো প্রদেশের গুমসুরি শহরতলি থেকে কট্টরপন্থী সংগঠন বোকো হারামের সদস্যরা শিশু ও নারীসহ ৩২ জনকে হত্যা ও কমপক্ষে ১৮৫ জনকে অপহরণ করেছে। তবে ১৯১ জনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে কয়েকটি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। গত রোববার বোকো হারামের সশস্ত্র সদস্যরা গুমসুরি শহরতলিতে এ হামলা চালায়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। একটি গাড়িবহরে বোকো হারামের বন্দুকধারীরা শহরতলিতে প্রবেশ করে ও বাড়িঘরের ভেতর পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারে। শহরতলির অধিকাংশ স্থানই ধ্বসংস্তূপে পরিণত হয়েছে। এদিকে গুমসুরিতে হামলা ও গণঅপহরণের দায় এখন পর্যন্ত স্বীকার করেনি বোকো হারাম। আক্রান্ত অঞ্চলে নিরস্ত্র, বেসামরিক মানুষকে নিরাপত্তা দিতে দীর্ঘদিন ধরেই কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন দেশটির সামরিক বাহিনী। গত রোববারের এ হামলার পর সামরিক বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গত বুধবার বোকো হারামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানানোয় দেশটির এক সামরিক আদালত ৫৪ সেনাকে মৃত্যুদন্ড দেয়। এদিকে এ ঘটনা গত এপ্রিলে চিবোক এলাকা থেকে ২ শতাধিক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট গুডলাক জনাথন। চিবোকে স্কুলছাত্রী অপহরণের পর প্রেসিডেন্টের সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের প্রতিজ্ঞা সত্ত্বেও সহিংসতা থামেনি। বরং, তা আরও বেড়েছে। এ বছর বেশ কয়েকটি অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে কট্টরপন্থী সংগঠনটি। নাইজেরিয়ার বিভিন্ন স্থানে বোকো হারামের হামলায় গত ৫ বছরে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩,০০০ মানুষ এবং দেড় লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.