ন্যায় বিচার করুন নয়তো ফাঁসির চেয়ে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে : খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ার পারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ তাকতে হবে। তিনি বলেন, হাসিনা দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংশ করে ফেলেছে। হাসিনা জোর করে ক্ষমতায় আছে। ৫ জানুয়ারি কোন নির্বাচন হয়নি। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আবার নির্বাচন দিতে হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান সংগ্রামে বিজয় ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যে স্বৈরাচার বিরোধী গণতন্ত্রের সংগ্রামে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রবৃন্দের ছাত্র কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ৯০ ডাকসুর সাবেক ছাত্রনেতৃবৃন্দ ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এ ছাত্র কনভেনশনের আয়োজন করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ৯০ র ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসবিচ আমান উল্লাহ আমান। অনুষ্ঠানে খালেদা বলেন, গত নির্বাচনে হাসিনা যে ওয়াদা করেছিলো তা একটাও রক্ষা করেনি। ঘরে ঘরে চাকরি, বিনা মূল্যে সার ও ১০ টাকা কেজিতে চালও দিতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে খালেদা বলেন, ছাত্রলীগকে সামলান। নিজের জিহবাকে ঠিক করেন। যে ভাষায় কথা বলেন তা গণতন্ত্রে ভাষা নয়।
খালেদা বলেন, দেশের অর্থনীতি আজ কঠিন অবস্থায় আছে। এজন্য বিদেশীরা এদেশে বিনিয়োগ করছে না। তিনি বলেন, লুটপাট করে সরকার আর বোঝা চাপায় জনগনের উপর। তিনি বলেন, কিছু হলেই বলা হয় তারা বিএনপির সমর্থক। যদি তাই হয় তাহলেতো সরকারের সমর্থক আর কেউ নেই। তাতেই প্রমান হয় চুরির মাধ্যমেই তারা ক্ষমতায় এসেছেন।
খালেদা জিয়া বলেন, সোনার বংলাদেশে সোনা আসছে আর আসছে। এর সাথে চেয়ারম্যান জড়িত থাকার পরও তাকে আটক করা হয় না। বিচারালয়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিচার বিভাগ বলে কিছু নেই। বিচারপতিরা চেহারা দেখে বিচার করেন। বিচারপতিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের কেউ হলে তার বিচার হয়। আর আওয়ামীলীগের হলে তার বিচার হয়না। তা হতে পারেনা। তাই হাসিনার সব মামলা আবার পুনরায় চালু করতে হবে। বিচারপতিদের তিনি বলেন, আপনারা যদি ন্যায়ের পথে না থাকেন, ন্যায় বিচার না করেন তাহলে একদিন আপনাদের ফাঁসির চেয়েও আরো কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.