শিশু জাহিদের ঘটনাটি নিছক গুজব: আবু সাঈদ

উচ্চ ক্ষমতার বোরহুল ক্যামেরা দিয়েও সন্ধ্যান মিলেনি শিশু জাহিদের। ঘটনাটি নিছক গুজব বললেন, এন এস্আ্ই এর উপপরিচালক আবু সাঈদ। ২৭ ডিসেম্বর শনিবার রাত দুইটা ৫০মিনিট পর্যন্ত কোন প্রাণের সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি।৬৭২ ফুট পাইপের গভীরে গিয়ে ক্যামেরা আটকে যায়।  বিশেষজ্ঞদল বলেছেন, দুইবার পাইপের গভীরে ক্যামেরা ফেলেও সন্ধ্যান পেলোনা শিশুটির। কোন মানবশিশু ও পানির সন্ধ্যান মিলেনি। ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেছেন, শতভাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা স্থগিত করবেন না।  প্রয়োজনে গ্রিপারের সাহায্যে নিচে থেকে বস্তুগুলো ময়লা সরিয়ে আবারো চালানো হবে উদ্ধার কার্যক্রম।  এসময় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।প্রয়োজনে আবারো উদ্ধার কার্যক্রম চলবে বলে জানান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। রাজধানীর শাহজাহানপুরে পানির পাম্পের গর্তে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধারে দু’দফায় ব্যর্থ হয়ে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারীরা।  ফায়ার সার্ভিসের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ খান জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)–এর চারজনের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে আছেন। তারা ক্যাচার মেশিন দিয়ে শিশুটিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উপরে তোলার চেষ্টা করবেন। এতে সময় লাগবে প্রায় একঘণ্টা। ক্যাচারের সঙ্গে শিশুটির অবস্থান জানান জন্য ক্যামেরাও থাকবে।  শনিবার রাত দেড়টায় ৬শ’ ফুট গভীর গর্তে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বোরহুল ক্যামেরা নামানো হচ্ছে। তা দিয়ে সনাক্ত করা যাবে শিশুটির অবস্থান। অবস্থান জানার পর নেয়া হবে বিকল্প উদ্ধার কৌশল।  জিহাদকে উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বশির আহমেদ নামে একজন স্বেচ্ছা সেবককর্মী নিজের জীবনবাজী রেখে শিশু জিহাদকে উদ্ধারের জন্য ৬শ’ ফুট গভীর পাইপের ভিতরের নামতে চাইছেন। ঝুঁকি থাকায় ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা তাকে নামতে দেয়নি। এখনো তিনি সেখানে আছেন নিজের জীবন বাজী রেখে শিশুটিকে উদ্ধারের শেষ ভরসা হিসেবে। ২৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শাহজাহানপুরে রেলওয়ে সুপার মার্কেট সংলগ্ন মালিক সমিতির অফিসের পেছনে ওয়াসার একটি পরিত্যাক্ত পানির পাম্পের ৬শ’ ফুট গভীর পাইপের নীচে চলে যায়। কিভাবে পড়ে গেছে তা জানা যায়নি।  জিহাদে বাবা নাসির মতিঝিল মডেল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দারোয়ান।৬-৭ বছর ধরে তারা শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনির বাসা নং-৪১ এর দু’তলায় থাকেন। গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার দামুড়া থানার পূর্বের চর গ্রামে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে জিহাদ সবার ছোট।

No comments

Powered by Blogger.