বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে লন্ডনে বিতর্ক

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে লন্ডনে লর্ডসভায় বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিতর্কে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং মানবাধিকার নেতারা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে এক সেমিনারে অংশ নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে কথা বলেন ঢাকা থেকে আসা দুই দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ লর্ডসভার বাংলাদেশ সংক্রান্ত অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্র“প লর্ডসভার অভ্যন্তরেই একটি কমিটি রুমে এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন লর্ড এভিবেরি এবং অ্যান মেইন এমপি। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন, তারানা হালিম এমপি প্রমুখ। বিএনপি প্রতিনিধিদলে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির সহসভাপতি সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমশের মবিন চৌধুরী এবং সাংবাদিক সজিব চৌধুরী। এ সেমিনারে লর্ডসভার সদস্য এবং মানবাধিকার নেতারাও বক্তব্য রাখেন। লর্ডসভার প্রতিনিধিদের মধ্যে লর্ড কারলাইন, জেমস ল্যাম্বার্ট, চার্লস টনক প্রমুখ। মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্বাস ফয়েজ। বুধবার এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে লর্ড কারলাইন বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার চরমভাবে ভুলুণ্ঠিত হচ্ছে। দেশটিতে বর্তমানে আইনের শাসন বলতে কিছুই নেই। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি প্রশ্ন রাখেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা বিদেশে একসঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করতে পারলে বাংলাদেশে বসে কেন আলোচনা করতে পারবে না। লর্ড এভিবেরি বলেন, বাংলাদেশে বৈধভাবে নির্বাচন হয়েছে এবং বিধি মোতাবেক আগামী পাঁচ বছর পর আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ধর্মনিরপেক্ষ সরকার হওয়ায় সেখানে রাষ্ট্র ধর্ম কীভাবে ইসলাম থাকবে। এটা স্ববিরোধিতা।
জবাবে এইচটি ইমাম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গোড়া থেকেই ধর্মভিরু। সেখানে ইসলাম ধর্ম পালন এবং রাষ্ট্রীয় ধর্ম থাকবে।

No comments

Powered by Blogger.