কাশ্মীরে প্রথম দফার ভোট শেষ

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর নির্বাচন বয়কটের মধ্যে মঙ্গলবার প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাঁচ দফার এই বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। জম্মু-কাশ্মীরের ৮৭টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসনে প্রথম দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে ভোটগ্রহণ হয় ১৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে। এই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য বিধানসভার এ নির্বাচনকে ঘিরে গোটা এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কাশ্মীরের ১৫ আসনে ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাত মন্ত্রীসহ শাসক দলের ১২ বিধায়ক। মোট ১২৩ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে প্রথম দফার ভোটে। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডের ১৩টি বিধানসভা কেন্দ্রই মাওবাদী প্রভাবিত হওয়ায় নিরাপত্তার দিকে বাড়তি নজর রাখা হয়। ঝাড়খণ্ডের বিধানসভার নির্বাচনে রয়েছেন ১৯৯ প্রার্থী। ভোটার প্রায় ৩৪ লাখ। প্রথম দফায় তেরোটির মধ্যে বারোটি আসনে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে। লোহারডাগা আসনটি তারা দিয়েছে জোটসঙ্গী এজেএসইউকে। অন্যদিকে জোট গড়ে লড়ছে কংগ্রেস, আরজেডি এবং জেডিইউ।
কাশ্মীরে স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশ এ ভূখণ্ড তাদের নিজেদের বলে দাবি করে। এ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে দু’বার যুদ্ধও হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে মূল লড়াই পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (পিডিপি) হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ভোটের লড়াইয়ে রয়েছে বিজেপি এবং কংগ্রেসও। এদিকে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে হুরিয়ত কনফারেন্স, জেকেএলএফের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো। একইসঙ্গে সাধারণ ধর্মঘটও চলছে। এই অবস্থায় ভোট গ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ প্রশাসন তৎপর ছিল। মোতায়েন করা হয় ৪০০ কোম্পানি নিরাপত্তা রক্ষী। বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরের ৮৭ সদস্যের বিধানসভায় জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। ট্রাল শহরে বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারণাকালে কাশ্মীরে বিজেপির প্রার্থী অবতার সিং ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার গডফাদার মোদি জি’র বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের কারণে কাশ্মীরে জয়ের ব্যাপারে আমি দৃঢ় আশাবাদী।’ কাশ্মীরের স্বাধীনতা বা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার জন্য ১৯৮৯ সাল থেকে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠন ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। সহিংসতায় হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

No comments

Powered by Blogger.