আইনমন্ত্রীর ব্যাখ্যা মনগড়া ও ভুল : কামারুজ্জামানের আইনজীবী

আইনমন্ত্রী অ্যাডঃ আনিসুল হক আইনের মনগড়া ও ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াত নেতা মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা। আজ রোববার সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য রাখেন কামারুজ্জামানের আইনজীবী শিশির মুহাম্মদ মনির। উপস্থিত ছিলেন- আইনজীবী নজরুল ইসলাম, মতিউর রহমান আকন্দ, সাইফুর রহমান, এসএম কামাল, ফরিদউদ্দিন খান, আব্দুল বাতেন, গিয়াস উদ্দিন মিঠু, গোলাম রহমান, আসাদউদ্দিন, গাজী তামিম প্রমুখ।
শিশির মনির বলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জেলকোডের ৯৯১ ধারা উল্লেখ করে মুহাম্মাদ কামারুজ্জানের রায় শোনার দিন থেকে ৭ দিনের সময় সীমার মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ আছে মর্মে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্য জেলকোডের ৯৯১ ধারার অপব্যাখা ছাড়া আর কিছুই নয়।
শিশির মনির জানান, রায় শোনার দিন থেকে সাত দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিধান ওই ধারায় উল্লেখ নেই। বরং পুরনো জেলকোড অনুযায়ী মৃত্যু পরোয়ানা গ্রহণের পর ৭ দিনের মধ্যে এবং নতুন জেলকোড অনুযায়ী ১৫ দিনের বিধান রয়েছে।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য মনগড়া উল্লেখ করে তার বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি জানান, গত ৬ নভেম্বর আইনজীবীরা কেন্দ্রীয় কারাগারে কামারুজ্জামানের সাথে দেখা করলে তিনি (কামারুজ্জামান) বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করবেন। রিভিউ আবেদনে নিষ্পত্তির পর দরকার হলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। কামারুজ্জামান মনে করেন, আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদন গ্রহণ করবেন এবং তিনি ন্যায় বিচার পাবেন।
শিশির মনির বলেন, যেহেতু আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো প্রকাশিত হয়নি সেহেতু রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে আইনমন্ত্রী যে সময়সীমার কথা উল্লেখ করেছেন তা বিভ্রান্তিকর ও বেআইনি।
তিনি আরো বলেন আইনমন্ত্রী আইনের মনগড়া ও ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তিনি জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন। আশা করি তিনি জাতির সামানে সঠিক ব্যাখ্যা দিবেন। আগে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা থেকে সরে আসবেন। তিনি গত তিন দিন থেকে একেক সময় একে কথা বলছেন। জাতি তার কাছে এ ধরনের বিভ্রান্তকর কথাবার্তা প্রত্যাশা করে না।

No comments

Powered by Blogger.