শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ হলে দেশ আলোকিত হবে: আনিসুজ্জামান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেছেন, শিক্ষার মানের উন্নতি মানে শিক্ষার্থীদের নৈতিক বোধের উন্নয়ন। তাদের মানসিক বিকাশ যদি ঘটানো যায়, তবেই দেশ আলোকিত হয়ে উঠবে। আজ শনিবার বিকেলে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় আমেনা-বাকী মহাবিদ্যালয়ের দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে আনিসুজ্জামান এসব কথা বলেন। আনিসুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের স্কুল-কলেজে খেলার মাঠ আছে, আজকাল তা ভাবা যায় না। বিশাল সুরম্য অট্টালিকা বাইরের রূপ। কিন্তু এর ভেতরের আত্মা কেমন, কী ধরনের লেখাপড়া শেখানো হচ্ছে, সেটাই মুখ্য বিষয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানে প্রতিষ্ঠা হয়, ওই অঞ্চলের অন্ধকার দূর হয়ে যায়। একবিংশ শতাব্দীর প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নতুন মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেন দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য-সংস্কৃতি বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক হলেও পাঠদানের এবং চর্চার ব্যবস্থা যেন থাকে, এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিশীল হতে তিনি আয়োজকদের আহ্বান জানান। শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী অনুষ্ঠানে বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখতে শেখাতে হবে। ভালো, সুন্দর, সফল ও সুনাগরিক হওয়ার স্বপ্ন। তবেই তারা সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারবে।
আমেনা-বাকী ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ টি এম আফজাল, দিনাজপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও বিটিভির সাবেক প্রযোজক নওয়াজেশ আলী খান, ধরিত্রী বাংলাদেশের সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সাবেক মহাপরিচালক কাজী শহীদুল আলম, ভারতের প্রখ্যাত চিকিৎসক প্রত্যুষ চট্টোপাধ্যায়, আমেনা-বাকী মহাবিদ্যালয়ের পরিচালক মো. শামসুল হক মণ্ডল এবং স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদস্য মো. শামসুল হক বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, অর্থোপেডিক সার্জন মো. আমজাদ আলী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে আমেনা-বাকী ফাউন্ডেশনের অধীন ২০০১ সালে দিনাজপুরে চিরিরবন্দর উপজেলায় আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আজ আমেনা-বাকী মহাবিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
১০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত মহাবিদ্যালয়টির প্রশস্ত খেলার মাঠ, সুপরিসর শ্রেণিকক্ষ, আধুনিক গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার ও আধুনিক কম্পিউটার ক্লাসরুমের সুবিধা রয়েছে। প্রথম বর্ষে বিজ্ঞান বিভাগে ৮১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হলো বলে কতৃ‌র্পক্ষ জানিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.