তেল বিক্রি থেকে আইএসের দৈনিক আয় ১০ লাখ ডলার

আইএস কালোবাজারে তেল বিক্রি করে প্রতিদিন অন্তত ১০ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ আয় করে। তা ছাড়া মুক্তিপণ ও চাঁদাবাজি থেকে গোষ্ঠীটি মাসে কোটি কোটি ডলার আয় করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি আন্ডারসেক্রেটারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডেভিড কোহেন বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানান।
কোহেন বলেন, অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর চেয়ে আইএস অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সম্পদ সংগ্রহ করছে। এ কারণে তাদের কাছে অর্থ সরবরাহ বন্ধ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এমন কোনো গোপন অস্ত্র নেই যা দিয়ে রাতারাতি আইএসের ভাণ্ডার শূন্য করে ফেলব। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি লড়াই হবে। আর এই মুহূর্তে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি।’ আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওবামা প্রশাসনের যে দলটি কাজ করছে কোহেন সেই দলের অন্যতম সদস্য।
দ্য কার্নেগি এনডাউমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল পিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মারওয়্যান মুয়াশের বলেন, ‘আইএসকে এখন বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী ও আর্থিকভাবে বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন আধুনিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা যায়’। গোষ্ঠীটি চলতি বছর মুক্তিপণ আদায়ের মাধ্যমে দুই কোটি মার্কিন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে। বিশেষ করে সাংবাদিক ও ইউরোপীয়দের অপহরণ করে এই বিপুল অঙ্কের অর্থ তারা সংগ্রহ করেছে।
চলতি বছরের জুন থেকে ইরাক ও সিরিয়ার বৃহৎ অঞ্চলের দখল নিতে থাকে আইএস। ইরাকি সেনাবাহিনীকে হটিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল ও বিদ্যুৎকেন্দ্র মসুল বাঁধের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। এ ছাড়া ইরাকি বাহিনীর কাছ থেকে য্ক্তুরাষ্ট্রের দেয়া আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রগুলোও ছিনিয়ে নেয় আইএস যোদ্ধারা। সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল অংশ দখল করে নেয়া এলাকাকে ইসলামি খেলাফত বলে ঘোষণা দেয় তারা।
১৭০০ বোমা ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র
এদিকে পেন্টাগন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইরাক এবং সিরিয়ার আইএসের বিরুদ্ধে এক হাজার সাত শ’র বেশি বোমা ফেলেছে। গত ১০ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিমানগুলো প্রায় ৬৬০০ দফা অভিযান চালিয়েছে বলেও জানিয়েছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড। অবশ্য মার্কিন জঙ্গি বিমানগুলোই বেশির ভাগ হামলা করেছে উল্লেখ করে এ বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ৬৩২ বোমা হামলার মধ্যে মার্কিন মিত্ররা মাত্র ৭৯টিতে অংশ নিয়েছে।
গত মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার আরব মিত্ররা সিরিয়ায়  আইএসআইএলের অবস্থানের ওপর বিমান হামলা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এ হামলায় যোগ দিয়েছে সৌদি আরব, বাহরাইন, কাতার, জর্দান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। অবশ্য জাতিসঙ্ঘের কোনো ম্যান্ডেট ছাড়াই এ হামলা চালান হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.