বিএনপি-জামায়াতের ১৩২ নেতাকর্মী গ্রেফতার

(অবরোধে যানবাহন ভাংচুর বিভিন্ন অভিযোগে) রোববার দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা সড়কে গাছ ফেলে ও যানবাহনে ভাংচুর চালিয়ে অবরোধ করে। অন্যদিকে বিভিন্ন স্থানে নাশকতা সৃষ্টি এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় শনিবার রাতে ও রোববার বিএনপি-জামায়াতের ১৩২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। ব্যুরো, অফিস, প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর :
কেশবপুর (যশোর) :পুলিশ অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে উপজেলার গড়ভাঙ্গা বাজারে তাণ্ডবের মামলায় ছাত্রশিবির নেতা বিল্লাল হোসেন, ভাণ্ডারখোলা বাজারে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর মামলায় বিএনপি নেতা আবু দাউদ এবং বেগমপুর ভোটকেন্দ্র ভাংচুর মামলায় নূর হোসেন, মেহেদী হাসান ও আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।
সেনবাগ (নোয়াখালী) :রোববার সেবারহাট বাজারে দুটি ট্রাক ও একটি অটোরিকশা ভাংচুর করে পিকেটাররা।
মাগুরা :সদর ও শালিখা থানা পুলিশ রোববার ৫ মামলার আসামিসহ ৪ যুবদল কর্মীকে আটক করেছে। পুলিশ জানায়, মাগুরা সদরের কাটাখালী এলাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় মহসিন, কোহিনুর, জুয়েল রানা নামে ৩ যুবদল কর্মীকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে শালিখায় যুবদল ক্যাডার ইমরান ঢালিকে উপজেলা সদর থেকে আটক করে পুলিশ।
কুড়িগ্রাম :পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত জেলার ৯টি থানা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের মধ্যে সদর থানায় ১১, উলিপুর থানায় ৪, রাজারহাট থানায় ৬, ফুলবাড়ী থানায় ৩, নাগেশ্বরী থানায় ৪, ভূরুঙ্গামারী থানায় ৩, কচাকাটা থানায় ১, চিলমারী থানায় ৩ ও রৌমারী থানায় দু'জনকে আটক করা হয়েছে।
মেহেরপুর :সদর উপজেলার রাজনগর গ্রাম থেকে এক জামায়াত কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অবরোধের সময় নাশকতা, রাস্তায় গাছ কাটাসহ কয়েকটি অভিযোগে জামায়াত কর্মী আবদুর রশিদের ছেলে শাহ আলমকে আটক করা হয়।
লক্ষ্মীপুর :শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো_ মকবুল আহমদ, জবি উল্লা, মো. হানিফ, কোরবান আলী, আকতার হোসেন ছুট্ট, জিয়া, নাঈম প্রকাশ জাহিদ হোসেন, আরিফ, সাইফুল্লাহ প্রকাশ হেলাল, রহমান আলী, শরীফুল ইসলাম আজম, জাবেদ ওমর, জমির আলী ও আবদুল করিম।
নড়াইল :জামায়াতের আমিরসহ ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারা হলো_ মিজানুর রহমান, আশরাফুজ্জামান, হাফিজুর রহমান, কর্মী হাবিব ও সজল।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) :উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। তারা হলো_ মিল্টন, ইমতিয়াজ, তোফাজ্জাল হোসেন ও মোজাম্মেল।
সিলেট :বিশেষ অভিযানে শিবির কর্মীসহ ১৭ জনকে আটক করেছে এসএমপি। রোববার নগরী ও সিলেটের বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। এর মধ্যে কোতোয়ালি ও শাহপরাণ থানা পুলিশ ৬ জন, জালালাবাদ ও এয়ারপোর্ট থানায় ৮ জন, দক্ষিণ সুরমা ও মোগলাবাজার থানায় ৩ জনকে আটক করা হয়। আটকৃতদের অধিকাংশই জামায়াত ও বিএনপির কর্মী।
আদমদীঘি (বগুড়া) :মদপানে মাতলামিসহ বিভিন্ন অভিযোগে শনিবার রাতে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তারা হলো_ সেলিম হোসেন, মোজেদ হোসেন, মিলন হোসেন ও ছাবি্বর আহম্মেদ।
নাটোর :রোববার শহরের তেবাড়িয়া এলাকায় গাড়ি ভাংচুরের সময় পুলিশ বিএনপির ৫ নেতাকর্মীকে আটক করে। তারা হলো_ সুজন, ইমন, বাদশা, ইসমাইল ও আমজাদ।
ঠাকুরগাঁও :নির্বাচনে সহিংসতার অভিযোগে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. মাহাবুর রহমান তুহিনসহ ১২ জনকে আটক করা হয়। শনিবার দিনভর অভিযান চালিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
গাইবান্ধা :রোববার সকাল পর্যন্ত যৌথবাহিনীর অভিযানে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৮ দলভুক্ত ওইসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে পলাশবাড়ীর জামায়াত নেতা নাজমুল হাসান সাকিবের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে রোববার গাইবান্ধা জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় জামায়াত-শিবির একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিলটি পৌর শহীদ মিনারের কাছে এলে পুলিশ বাধা দেয় এবং একপর্যায়ে লাঠিচার্জ ও ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় মনিরুজ্জামান নামে এক শিবির কর্মীকে আটক করা হয়।
রংপুর :ট্রেনে নাশকতার অভিযোগে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়কসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। শনিবার রাত ও রোববার পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো_ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আকতারুজ্জামান তিতু, শিবির কর্মী মোক্তারুল আলম, শাহা আলম, জামায়াত কর্মী মকসুদার রহমান, আবদুল আলিম, মুসফিকুর রহমান, নুরনবী, রশিদুল, আফজাল, আবদুর রশিদ, বিএনপি কর্মী ইয়াহিয়া, মোখলেছার রহমান, মাসুদার রহমান ও ওমর ফারুক।
পাবনা :রোববার ভোরে সাঁথিয়া পৌর জামায়াত সেক্রেটারি আ. ছালামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি সাঁথিয়া উপজেলার কোনাবাড়িয়া গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে।
সাতক্ষীরা : কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, জামায়াত নেতা শওকত হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে উপজেলার কয়লা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জয়পুরহাট : নাশকতার অভিযোগে যৌথ বাহিনী শনিবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতের পাঁচজন ও শিবিরের একজনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার তিনজন, পাঁচবিবি উপজেলার দু'জন ও কালাই উপজেলার একজন রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.