শান্তি ফেরাতে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান

একসময় ইরানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের পরিচিতি ছিল 'বিশ্ব শয়তান' নামে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইরানের পরিচয় 'শয়তানের বলয়' নামে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে একযোগে কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে শত্রু রাষ্ট্র দুটির। ওবামা প্রশাসনের ইচ্ছার ভিত্তিতে ও ইরানের সংস্কারবাদী প্রেসিডেন্ট রুহানির উদ্যোগে দেশ দুটি পরস্পরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার নীতি নিয়েছে। ইতিমধ্যেই এর ফল আসতে শুরু করেছে। যার ভিত্তিতে বিশ্বশক্তিসমূহের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করেছে ইরান। অন্যদিকে মার্কিন সিনেট ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আনলেও তাতে ভেটো দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক জন ব্রাডশ বলেন, 'ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু; কিন্তু ওবামা প্রশাসন সমস্যা সমাধানে ইসরায়েলকে এড়িয়ে বিকল্প পথেও হাঁটছেন।' আফগানিস্তান ইস্যুতে মতের মিল রয়েছে উভয় দেশের। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র কেউই চায় না, আফগানিস্তানে আর তালেবানি শাসন ফিরুক। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক র‌্যান্ডে করপোরেশনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলিরেজা নাদের বলেন, 'পরমাণু সমস্যা সমাধান করতে পারলে ভবিষ্যতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের একযোগে কাজ করার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।' যুক্তরাষ্ট্র যেমন আল কায়দার পতন চায় তেমনি তেহরানও আল কায়দার পতন চায়। এ ছাড়া ইরানও ইসলামি জঙ্গিবাদের বিরোধী। ফলে উভয় দেশের একযোগে কাজ করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এ অঞ্চলে বিশেষ করে ইরাকে আল কায়দার উত্থান রুখতে ইরান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে বিভিন্ন সময় ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারাও।

No comments

Powered by Blogger.