নতুন বসতি নিয়ে ইইউয়ের উদ্বেগ-ফিলিস্তিনিদের কর দেওয়া বন্ধের ঘোষণা ইসরায়েলের

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রাপ্য কর আটকানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল রবিবার ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী যোভাল স্তেইনিৎজ এ ঘোষণা দেন। ফিলিস্তিন জাতিসংঘে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে নতুন করে তিন হাজার বাড়ি নির্মাণের ইসরায়েলি পরিকল্পনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চলগুলো থেকে কর আদায় করে ইসরায়েল। উত্তোলিত কর থেকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তারা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে দেয়। কিন্তু নতুন পরিস্থিতিতে অধিকৃত অঞ্চলের কর ফিলিস্তিনিদের দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তারা। মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে গতকাল স্তেইনিৎজ সাংবাদিকদের বলেন, 'তাদের (ফিলিস্তিনিদের) কর দেওয়ার আর কোনো ইচ্ছা নেই। সুতরাং এ মাসে তারা এ সহায়তা পাচ্ছে না।'
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েল কর দেওয়া বন্ধ করলে ফিলিস্তিনিরা ৪৬ কোটি শেকেল (প্রায় ৯ কোটি ২৭ লাখ ইউরো) থেকে বঞ্চিত হবে। স্তেইনিৎজ একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ প্রাপ্ত অর্থ যথাসময়ে পরিশোধের তাগিদও দেন।
পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা চেয়ে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিদের তোলা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। তা সত্ত্বেও ওই প্রস্তাব পাস হলে ইসরায়েল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায়। ইতিমধ্যেই তারা পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে নতুন করে আরো তিন হাজার বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। ইইউ গতকাল ইসরায়েলের এ আগ্রাসী ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির বিদেশ নীতি বিভাগের প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন ইসরায়েলের এ আগ্রাসী নীতির সমালোচনা করে বলেছেন, 'এভাবে বাড়ি নির্মাণ আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং শান্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছে।' শান্তি আলোচনা শুরুর জন্য দুই পক্ষের প্রতিই আহ্বান জানান তিনি।
গাজায় যাচ্ছেন খালেদ মেশাল : অধিকৃত এলাকায় বাড়ি নির্মাণের বিষয়ে ইসরায়েলের ঘোষণার মধ্যেই গাজায় যাচ্ছেন হামাস নেতা খালেদ মেশাল। হামাসের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী সপ্তাহে তিনি গাজায় যাবেন। মিসরের সাবেক একনায়ক শাসক হোসনি মুবারকের শাসনামলে খালেদ মেশালের গাজা ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। মুসলিম ব্রাদারহুড মিসরে ক্ষমতায় যাওয়ার পর ওই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়। সূত্র : এএফপি, জি নিউজ।

No comments

Powered by Blogger.