পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন এক বছরের মধ্যে

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হবে। এখন এটা কেউ থামাতে পারবে না। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ রাখা উচিত নয়।
পাবর্ত্য চুক্তি স্বাক্ষরের ১৫তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গতকাল রোববার প্রধান অতিথির বক্তব্যে গওহর রিজভী এ কথা বলেন।
পার্লামেন্টারি ককাস অন ইনডিজিনাস পিপলসের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট হলে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে গওহর রিজভী আরও বলেন, ‘বিগত জোট সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের দীর্ঘ সাত বছর শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে কোনো কাজ হয়নি। আমরা যেখানে রেখে এসেছিলাম, সেখান থেকেই আবার কাজ শুরু করতে হয়েছে।’ তিনি বলেন, ভূমি সংস্কারসহ চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন নিয়ে প্রচুর সমস্যা এখনো রয়েছে। তাই প্রথমে চুক্তির ওপর আলোকপাত করা হবে। চুক্তি বাস্তবায়ন হলে অন্য বিষয় নিয়ে বিতর্ক করা হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুও চুক্তি বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর বলে উল্লেখ করে বলেন, চুক্তির সময়ে যারা প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছে, সেই বিএনপি, জামায়াতসহ চক্রান্তকারীরা আজও এ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা বলেন, ১৫ বছর আগে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে অস্ত্র দিয়েছিলাম, প্রধানমন্ত্রী ফুল দিয়েছেন। ১৫ বছর পর সেই অনুভূতিতে হতাশা-নিরাশা আর ক্ষোভ জমা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর শত শত ক্যাম্প প্রত্যাহার এবং পাঁচ লাখেরও বেশি বহিরাগত বাঙালিকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান সন্তু লারমা।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এ দেশীয় পরিচালক স্টিফেন প্রিজনার বলেন, পার্বত্য চুক্তি একটি রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতিকে থামিয়েছিল। এর পূর্ণ বাস্তবায়ন জরুরি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবির) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আদিবাসীদের পরিচয় সংবিধানে যুক্ত না হলে শান্তি পূর্ণতা পাবে না। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মেজর জেনারেল (অব.) আমিন আহমেদ চৌধুরী, হোসেন শহীদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। তথ্য কমিশনার অধ্যাপক সাদেকা হালিম অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

No comments

Powered by Blogger.