একাত্তরের এই দিনে

* পাকস্তানি বাহিনী আকস্মিকভাবে স্থল ও আকাশপথে ভারতের পশ্চিমাঞ্চল আক্রমণ করার ফলে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়। ভারত ও বাংলাদেশ বাহিনী সম্মিলিতভাবে পূর্ব সীমান্তে অভিযান শুরু করে।
ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশের পাকিস্তানি অবস্থানগুলোকে ঘিরে ফেলার প্রচেষ্টায় সীমান্তের সাতটি এলাকা দিয়ে প্রচণ্ড আক্রমণ পরিচালনা করে।
* ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী কলকাতা সফরকালে ব্রিগেড প্যারেড ময়দানের সভা সংক্ষেপ করে সন্ধ্যায় হঠাৎ দিল্লি রওনা হন। রাতে জাতির উদ্দেশে এক বেতার ভাষণে তিনি বলেন, পাকিস্তান আজ ভারতের ওপর সর্বাত্মক হামলা চালিয়েছে। ভারতকে এ যুদ্ধ মোকাবিলা করতে হবে। পাকিস্তানের আক্রমণ ঐক্যবদ্ধভাবেই প্রতিহত করতে হবে। তিনি দেশবাসীকে চরম ত্যাগ স্বীকারের জন্য তৈরি হওয়ার আহ্বান জানান।
* ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনাকালে শেখ মুজিবুর রহমান প্রসঙ্গ নিয়ে কথাবার্তা হয়। তিনি শেখ মুজিবের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য পুনরায় পাকিস্তানে আসতে রাজি।
* ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং নয়াদিল্লিতে পার্লামেন্টে বলেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্যাতন বন্ধ করার ব্যাপারে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য ভারত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য সরকারকে পরামর্শ দিয়ে আসছে। কিন্তু সে প্রচেষ্টা কোনো সুফল বয়ে আনেনি।
* চতুর্থ ও দশম বেঙ্গল ফেনী থেকে অগ্রসর হয়ে রেজুমিয়া সেতুতে উপস্থিত হয়। ১ নম্বর সেক্টরের ক্যাপ্টেন মাহফুজ তাঁর বাহিনী নিয়ে অন্য বাহিনীর সঙ্গে একত্র হন। ফেনী-চট্টগ্রাম সড়ক দিয়ে এই যৌথ বাহিনীর একটি কলাম ডান দিকে মুহুরী নদী ধরে এবং অন্য কলাম বাঁ দিকের সড়ক ধরে চট্টগ্রামের দিকে এগোতে থাকে।
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

No comments

Powered by Blogger.