প্রেমের বিয়েঃ বর ৭০ কনে ১৮

০ বছরের বৃদ্ধ তাইজদ্দিন শেখ ওরফে তারা মাতুব্বরকে ভালোবেসে বিয়ে করল আসমাউল হুসনা নামে ১৮ বছরের এক কলেজছাত্রী। এদিকে সম্পর্কিত নানার হাত ধরে নাতনির ঘরছাড়া নিয়ে এলাকায় এখন আলোচনার ঝড় বইছে। এটি ঘটেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদু খানপাড়া গ্রামে।

এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের হঠাৎ বাজার গ্রামের আসলাম মিয়ার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আসমাউল হুসনা। চার মাস আগে হুসনা প্রেমে পড়েন গোয়ালন্দ উপজেলার দুদু খানপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ তারা মাতুব্বরের। একদিন সুযোগ বুঝে আসমা মনের কথা খুলে বলেন তারা মাতুব্বরকে। তরুণীর ভালোবাসার প্রস্তাব পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে লুফে নেন তারা মাতুব্বর। এর পর থেকে অসম বয়সী প্রেমিক-প্রেমিকা চুটিয়ে প্রেম করেন। একপর্যায়ে বিয়ে করে নতুন ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেন তারা। শেষে প্রেমের টানে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে গত অক্টোবরে তারা দুজন রাজবাড়ীর আদালতে গিয়ে বিয়ে করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে কনেপক্ষের লোকজন বিয়েতে আপত্তি জানিয়ে আসমাকে গৃহবন্দি করে। এ সময় গৃহবন্দি আসমা স্বামীর ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য এলাকাবাসীর উদ্দেশে দুই পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখে তা গোপনে পাঠিয়ে দেন তাঁর স্বামীর কাছে। পরে বৃদ্ধ তারা মাতুব্বর তাঁর নববধূর লেখা চিঠিটি অনুলিপি করে তা গ্রামের মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিলি করেন। এ সময় তিনি তাঁর নতুন বৌকে ঘরে তুলে দেওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান। এদিকে গ্রামের লোকজন আসমার অনুরোধে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এলেও বাবার বাড়ির বাধায় তা ব্যর্থ হয়। শেষে পাগলপ্রায় নববধূ সুযোগ বুঝে গত বৃহস্পতিবার বাবার বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে যান স্বামীর ঘরে।
এ ব্যাপারে নববধূ আসমাউল হুসনা বলেন, 'অন্য কোনো কারণে নয়, একমাত্র ভালোবাসার মূল্য দিতেই আমি আমার বৃদ্ধ প্রেমিককে বিয়ে করেছি।'
তারা সরদার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নাতনি সম্পর্কের আসমা এইবার ফরিদপুরের একটা কলেজ থিকা আইএ পরীক্ষা দিব। তারে বৌ করতে পাইরা আমি অনেক খুশি হইছি। তয়, বিয়ার পরে বৌডারে ঘরে তুলতে বহুত ঝামেলা পোহাইতে হইছে। আপনেরা অহোন আমাগো লিগা দোয়া কইরেন।' বৃদ্ধের পরিবারও বিষয়টি মেনে নিয়েছে। উল্লেখ্য, বৃদ্ধ তারা সরদারের পরিবারে স্ত্রী, তিন ছেলে, চার মেয়েসহ বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.