আদালতে ২২ জনের জবানবন্দি-টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা

দালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কুমারগাড়ীর আফজাল হোসেন জানান, উপজেলার কামারদহের বাবুল শেখ ওরফে বাবলু ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে চার লাখ টাকা নেন। গত ডিসেম্বরে ঢাকার গেন্ডারিয়ার মিলব্যারাকে তিনি পরীক্ষার জন্য লাইনে দাঁড়ান। নিয়োগ পেয়ে তিনি নোয়াখালী পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যান এবং সেখান থেকে গ্রেপ্তার হন। আফজাল
আদালতকে জানান, ভিটেমাটি বিক্রি করে তিনি বাবুলকে টাকা দিয়েছিলেন। আফজালের মতো গাইবান্ধার বাকি ১২ যুবক বাবুলকে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছেন বলে আদালতে প্রায় একই ধরনের জবানবন্দি দিয়েছেন। আরেক অভিযুক্ত ইয়াছিন আলী আদালতকে জানান, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার শংকরপুরে তাঁর গ্রাম। পাশের বাড়ির হাফিজুর রহমান তাঁকে পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নেন। হাফিজুর পরে সাইফুল ইসলাম নামে অপর এক ব্যক্তির মাধ্যমে তাঁকে ঢাকার গেন্ডারিয়ার মিলব্যারাকে পাঠান। সেখানে তিনি কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ পান।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মহিচরণের বাসিন্দা জিহাদ আলী আদালতকে জানান, স্থানীয় আশিক তাঁকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে পৌনে চার লাখ টাকা নেন। ইয়াছিন ও জিহাদের মতো আরও সাতজনের কাছ থেকে হাফিজুর, সাইফুল ও আশিক চাকরি দেওয়ার জন্য এ হারে টাকা নেন।
বাগেরহাটের মোল্লারহাটের গাওলার মিজানুর রহমান বলেন, স্থানীয় দীন মোহাম্মদ সাব্বির নামের এক ব্যক্তিকে তিনি তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা দেন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই মিলব্যারাকে পরীক্ষা নিয়ে তাঁর চাকরি হয়।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার সাফলকুড়ার মানিক মিয়া আদালতকে জানান, স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান পুলিশের কনস্টেবলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে পৌনে চার লাখ টাকা নেন। অন্যদের মতো একই প্রক্রিয়ায় তাঁর চাকরি হয়।
(প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন গাইবান্ধা প্রতিনিধি সাহাবুল শাহীন)।

No comments

Powered by Blogger.