আসল সময়ে টস জিতলেন ধোনি

নতুন বছরই কি তবে সৌভাগ্য বয়ে আনল মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য? সর্বশেষ ১৪টির মাত্র ১টিতে জিতেছেন, টস ব্যাপারটা যে অনিশ্চিত কিছু, এই বিশ্বাসটাই হয়তো হারিয়ে ফেলছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। সবুজাভ উইকেট, মেঘলা আকাশ আর ভেজা বাতাস—টস জয়টা খুব জরুরি ছিল ভারতের জন্য। কী আশ্চর্য, ধোনি জিতলেন!
টসের পরই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আরও বাড়িয়ে দিল ধোনির টস জয়ের গুরুত্ব। খেলা অবশ্য শুরু হয়েছে যথাসময়েই। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনারকে দ্রুত ফিরিয়ে কাঙ্ক্ষিত শুরুটা পেয়েছিল ভারত। এর পরই হাশিম আমলার পাল্টা আক্রমণ। আমলা এবং পরে ডি ভিলিয়ার্সকেও অবশ্য ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত। তবে ভারতের বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আশা জ্যাক ক্যালিস ও রান-খরায় থাকা অ্যাশওয়েল প্রিন্স। বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতার কারণে দুই দফা খেলা বন্ধ ছিল। ৭৪ ওভার খেলা হয়েছে, তাতে ৪ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২৩২। বড় কিছুরই ইঙ্গিত ক্যালিসের ব্যাটে, ৮১ রান করে উইকেটে আছেন তিনি। তাঁর সঙ্গী অ্যাশওয়েল প্রিন্স ব্যাট করছেন ২৮ রানে। তবে একটা উইকেটই খুলে দিতে পারে আরও বেশ কিছু উইকেটের দ্বার। সিরিজে এখন পর্যন্ত ভীষণ নড়বড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার অর্ডার।
টস জিতে যখন হাসছেন ধোনি, হাসছেন তখন গ্রায়েম স্মিথও। কারণ? ‘টস হারায় ভালো হয়েছে, বুঝতে পারছিলাম না জিতলে কী করব!’ খেলা শুরুর আধঘণ্টার মধ্যে উধাও সেই হাসি, ব্যক্তিগত লড়াইয়ে যে পিছিয়ে পড়লেন! দীর্ঘদিনের লড়াইটা জহির খানের সঙ্গে। গত টেস্টের প্রথম ইনিংসে জহিরের বলে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮ বলে ২৪ রান নিয়ে আক্রমণ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন জহিরকে। জহির আবার এগিয়ে গেলেন ২-১-এ, আরও একবার ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লু স্মিথ।
সুইং বোলিংয়ের বিপক্ষে শুরুতে সতর্ক আমলা পরে হাত খুলেছেন। আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার সময় রান ছিল ৪৮ বলে ২২, খেলা শুরুর পর ২২ বলে ৩৭! এই অতি-আক্রমণাত্মক মানসিকতারই বলি হয়ে শ্রীশান্তের বাউন্সারে ধরা পড়েছেন সীমানায়। ক্যালিসের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়া ডি ভিলিয়ার্সকেও ফিরিয়েছেন শ্রীশান্ত। আর ক্যালিস-প্রিন্সের পঞ্চম উইকেট জুটিটা অক্ষত ৬৮ রানে। ওয়েবসাইট।

প্রিয় শিকার
সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে ২৩ ইনিংসে এই নিয়ে ১১ বার গ্রায়েম স্মিথকে আউট করলেন জহির খান।

No comments

Powered by Blogger.