অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল এখন অথই পানির নিচে

অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন অথই পানির নিচে। ভয়াবহ বন্যায় গতকাল রোববার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া এক মহিলার লাশ গতকাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এবারের বন্যায় এটাই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।
অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এ বন্যায় ইতিমধ্যেই দুই লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৯৮ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে যেভাবে নদীর পানি ফুঁসছে, তাতে বন্যার আরও বিস্তার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদেরা।
ব্রিসবেনের আবহাওয়াবিদ, গর্ডন ব্যাঙ্ক বলেছেন, ‘দক্ষিণ কুইন্সল্যান্ডে যে বন্যা হয়েছে, তা নজিরবিহীন। এখানে এত পানি হতে আমরা কখনো দেখিনি।’
কুইন্সল্যান্ডের মেয়র ব্রড কার্টার বলেছেন, সারা প্রদেশে বন্যায় কমপক্ষে দুই লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ প্রদেশের রকহ্যামটন শহর পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাস্তায় নেমে তাকালে এখানে পানি ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। এখানে লোকজন নৌকায় করে বাড়িঘর থেকে মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে। বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেল ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এ শহরে প্রায় ৭৭ হাজার লোক বাস করে। কুইন্সল্যান্ডের রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বন্যায় এ পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ ৯৮ কোটি ডলার বলে জানিয়েছেন। পুলিশ গতকাল কার্পেন্টেরিয়া এলাকা থেকে এক মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে। বন্যার পানির তোড়ে তাঁর গাড়িটি ভেসে গেলে ওই মহিলার মৃৃত্যু হয়।
এদিকে রেল চলাচল অচল হয়েপড়ায়কুইন্সল্যান্ডের সবচেয়েবড় খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয়বৃহত্তম কয়লা রপ্তানি বন্দর গ্ল্রাডস্টোনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে য়লা রপ্তানি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.