চলে গেলেন ‘বকুল আপা’

গত সপ্তাহে একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। স্কয়ার হাসপাতালে কয়েক দিন থাকার পর বুধবার বাড়ি ফেরার অনুমতি মেলে লুৎফুন্নেসা হক বকুলের। কিন্তু পরশু আবারও হার্ট অ্যাটাক, হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে আটটায় মারা যান একসময়ের ট্র্যাক কাঁপানো অ্যাথলেট।
ক্রীড়াঙ্গনে সবাই তাঁকে ‘বকুল আপা’ বলেই চিনতেন। ৭০ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট পাকিস্তান অলিম্পিকে ৮০ মিটার হার্ডলসের রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছিলেন ১৯৫৬ সালে। ১৯৭১ সালে রওশন আক্তার (ছবি) ভেঙে দেওয়ার আগপর্যন্ত টিকে ছিল যে রেকর্ড। ১৯৭৩ সালে দিল্লিতে রুরাল গেমসে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ছিলেন লুৎফুন্নেসা। ১৯৭৮ সালে পেয়েছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থা গঠনে তাঁর ছিল অগ্রণী ভূমিকা। দীর্ঘদিন তিনি এই সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। চাকরিজীবনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক, উপপরিচালকের দায়িত্বে থাকাকালে শিক্ষা ও মাদ্রাসা বোর্ডেও খেলাধুলার আয়োজনে দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
কাল ধানমন্ডি মসজিদ-উর-তাকওয়ায় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে লুৎফুন্নেসার মরদেহ। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার। শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ), বাফুফে, অ্যাথলেটিকস ও হ্যান্ডবল ফেডারেশন এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

No comments

Powered by Blogger.