টিকিটের পেছনে সারা রাত, তবু মেলেনি অনেকের ভাগ্যে

দেশে প্রথমবারের মতো স্বপ্নের ক্রিকেট বিশ্বকাপ হচ্ছে। এই আয়োজন বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন এক যাত্রাও বটে। তার ওপর নিজের প্রিয় তারকাকে সরাসরি দেখার কৌতূহল তো আছেই। তাই ক্রিকেটামোদীরা বিশ্বকাপের টিকিটের জন্য নাওয়া-খাওয়া ভুলে ব্যাংকের সামনে গত শনিবার রাত থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন। কনকনে ঠান্ডায় দাঁড়িয়ে রাত জাগার কষ্টও যেন তাঁদের স্পর্শ করতে পারেনি।
শীতের রাতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে সকালে যাঁরা সোনার হরিণের দেখা পেয়েছেন, তাঁদের মুখে যেন রাজ্যজয়ের হাসি। আর যাঁরা পাননি, তাঁদের মুখে রাত জাগার ক্লান্তি আর রাজ্যের হতাশা। আবার ‘তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই’ এমন লোকেরও অভাব নেই। আজ আবার টিকিট সংগ্রহের ‘অভিযানে’ নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রামে সিটি ব্যাংকের চকবাজার, জিইসি মোড়, আন্দরকিল্লা, জুবিলি রোড শাখা ও অগ্রণী ব্যাংকের আগ্রাবাদ করপোরেট শাখার সামনে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। আগের দিন রাত থেকে ব্যাংকের সামনে টিকিটের জন্য তাঁদের প্রতীক্ষার শুরু। গতকাল সকালে যখন ব্যাংকের দুয়ার খুলল, তখন তাঁদের মনে আশার ঝিলিক। দীর্ঘ লাইন, টিকিট না-ও পেতে পারেন—এমন আশঙ্কায় লাইনের পেছনের দিকে থাকা লোকজন সারা দিনই হইচই করে গেছেন।
টিকিটবঞ্চিত লোকজনের অভিযোগ, খুব ধীরগতিতে ভেতরে লোক ঢোকানো হয়েছে। তা ছাড়া লাইন না মেনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় লাইনের বাইরের লোক ঢুকে পড়েছে। লাইনে দাঁড়ানো টিকিটবঞ্চিত লোকজনের অনেকে পরের দিনের জন্য টোকেন দেওয়ার দাবিও তুলেন। অবশ্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাঁদের এই দাবি মানেনি।
টিকিটবঞ্চিত লোকজনের অভিযোগ প্রসঙ্গে সিটি ব্যাংকের চকবাজারের শাখা ব্যবস্থাপক আবু সেলিম জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি টিকিটের জন্য ফরম পূরণ, ডাটা ইনপুট দেওয়া, সার্ভারে ঢোকাসহ নানা কাজ করতে হয়। লাইনে দাঁড়ানো অনেকেই এটা নিজে করতে পারছেন না।

No comments

Powered by Blogger.