আলোচনা- 'প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন পর্যায়' by মনজুরুল হক

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত জাপান সফরকে নানা দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ আখ্যায়িত করা যেতে পারে। প্রথমত, শেখ হাসিনা তাঁর এই সফরের মধ্য দিয়ে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের এমন এক নতুন পর্যায়ের সূচনা করলেন, ভবিষ্যতে যা নিশ্চিতভাবেই বন্ধুপ্রতিম দুই দেশকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসতে সহায়ক হবে। তিনি হলেন বাংলাদেশের প্রথম নেতা, যিনি সত্যিকার অর্থেই পরিবর্তিত এক জাপানে পদচারণ করলেন এবং বলা যায়, জাপানের নতুন নেতৃত্বকে এমন এক ভিন্ন বাংলাদেশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন, যে বাংলাদেশ হচ্ছে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলা দেশ, আগের সেই দাতার সামনে হাত পেতে বসে থাকা বাংলাদেশ নয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের যেসব মূল্যায়ন এখন জাপানের সরকারি পক্ষ থেকে করা হচ্ছে, তার আলোকে বলা যায়, জাপানি পক্ষ এই সফরকে খুবই ইতিবাচকভাবে দেখছে এবং বাংলাদেশের এগিয়ে চলার পথে সহযোগিতার হাত প্রসারিত রাখার তাৎপর্য আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করতে পারছে।
সফর শুরু হওয়ার আগের এক লেখাতেই আমি যেমন উল্লেখ করেছি, প্রধানমন্ত্রীর সফর আপাতদৃষ্টিতে বিলম্বিত সফর মনে হলেও খুবই জুতসই একটা সময়ে জাপানে তিনি এসেছেন। জাপানে গত বছরের গ্রীষ্মকালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের পর নেতৃত্বের রদবদল ছিল প্রকৃত অর্থেই গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগ পর্যন্ত ৫৪ বছর ধরে প্রায় বিরতিহীনভাবে ক্ষমতাসীন একটি দলের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার মধ্য দিয়ে জাপানের রাজনীতিতে নতুন যে ধারার সূচনা, সেই ধারার সঙ্গে পরিচিত হওয়া আমাদের জন্যও অনেকাংশেই কাঙ্ক্ষিত ছিল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেই অর্থে হচ্ছেন আমাদের প্রথম সরকারপ্রধান, যিনি কিনা উদার গণতন্ত্রী দলের শাসনাধীন দেশটির বাইরের এক জাপানকে দেখার ও জানার সুযোগ পেলেন, দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ককে ভবিষ্যতে আরও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে দিতে যে জ্ঞান অবশ্যই সহায়ক হবে।
চার দিনের আনুষ্ঠানিক জাপান সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্রাটের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কানের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক শেষে যৌথ এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, জাপানের ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন, জাপান-বাংলাদেশ সংসদীয় লিগের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হয়েছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামনে বক্তব্য দিয়েছেন, টোকিওতে বাংলাদেশের দূতাবাস কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেছেন এবং আণবিক বোমা হামলার শিকার হওয়া বিশ্বের প্রথম শহর হিরোশিমা সফর করে শান্তির পক্ষে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের বার্তা হিরোশিমাবাসীর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। এসবের বাইরে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেইজি মায়েহারা, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এজেন্সি জাইকা ও জাপানের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থা জেটরোর প্রধানেরা এবং বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে পরিচিত প্রভাবশালী বেশ কজন জাপানি নাগরিক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর হোটেলকক্ষে এসে সাক্ষাৎ করেছেন। সফরসূচির এই দীর্ঘ তালিকার ওপর চটজলদি দৃষ্টিপাত সহজেই বলে দিতে সক্ষম, ৯৬ ঘণ্টার জাপান সফরে অনেক কিছুই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করতে পেরেছেন।
রাষ্ট্র কিংবা সরকারপ্রধানদের যেকোনো সরকারি সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক। জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সেই শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় শেখ হাসিনার জাপান সফরের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ নভেম্বরের ২৯ তারিখে। সন্ধ্যা ছয়টা ৩৫ মিনিট থেকে শুরু করে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে দুই দেশের শীর্ষপর্যায়ের প্রতিনিধিদল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করে এবং বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ও জাপানের দুই প্রধানমন্ত্রী ‘আন্তর্জাতিক সমাজ ও দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে বলিষ্ঠ অংশীদারি সংহত করে নেওয়া’ শিরোনামে যৌথ এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।
দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকের তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিক ছিল, মূলত শুধু বাংলা ও জাপানি ভাষায় বৈঠকটি পরিচালিত হওয়া। বৈঠকের শুরুতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের নেতাকে তাঁর দেশে স্বাগত জানান এবং এর উত্তরে শেখ হাসিনা জাপান সফরের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নাওতো কানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন যে তৃতীয়বারের মতো জাপানের মতো সুন্দর দেশ সফর করতে পেরে তিনি আনন্দিত।
যৌথ বিবৃতিতে ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের মধ্যে দেশটিকে মধ্য আয়ের এক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নেওয়া প্রবৃদ্ধির কৌশলের আওতায় বাংলাদেশের অর্থনীতির অব্যাহত প্রবৃদ্ধি অর্জন করে যাওয়াকে স্বাগত জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশে আরও বেশি জাপানি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণে দুই দেশের যৌথভাবে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার এতে ব্যক্ত করা হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে নিতে অবকাঠামো, সামাজিক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বিবৃতিতে জাপানি পক্ষ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের জন্য সর্বমোট ৪০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে, যা ছিল বাংলাদেশের জন্য খুবই কাঙ্ক্ষিত এক প্রাপ্তি।
সরকারি পর্যায়ের আলোচনার বাইরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাপানের ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে তাঁদের এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। সফরের সাফল্যের এসব দিক প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে আসা বাংলাদেশি সাংবাদিকদের কল্যাণে দেশবাসী ইতিমধ্যে অবহিত হতে পেরেছেন। ফলে সফরের অন্য যেসব খুঁটিনাটি দিকে আলোকপাত তেমন একটা করা হয়নি, সে রকম কয়েকটি দিক বিশ্লেষণ করার মধ্য দিয়ে সফরের সাফল্য-ব্যর্থতা মনে হয় আরও ভালোভাবে বুঝে নেওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জাপানে অবস্থানকালেই জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের জনসংযোগবিষয়ক ডেপুটি কেবিনেট সেক্রেটারি নোরোইয়ুকি শিকাতা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দুই দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনার জাপানি পক্ষের মূল্যায়ন তুলে ধরেন। তাঁর মতে, এই সফরের মধ্য দিয়ে উভয় দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে সক্ষম হয়েছে। জাপান অবকাঠামো নির্মাণের বাইরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এবং দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে উপনীত হওয়ার পথে অগ্রসর হতে হলে কী করা দরকার তার সুস্পষ্ট কিছু ইঙ্গিত বাংলাদেশি প্রতিপক্ষকে প্রদান করে। জাপানের ধারণা, অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা শুরু করার আগে বাংলাদেশের প্রয়োজন হবে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ আরও উন্নত করে নেওয়া। জাপানের প্রধানমন্ত্রী যেমন উল্লেখ করেছেন, অনেক বেশি সংখ্যায় জাপানি কোম্পানি এখন বাংলাদেশে তাদের কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত করে নিচ্ছে। ফলে অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষরে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়মিত সংলাপ পারস্পরিক সমঝোতা আরও গভীর করে নিতে সহায়ক হবে। এই মুহূর্তে জাপান দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির নীতি পর্যালোচনা করে দেখছে এবং বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে চলা বিভিন্ন আলোচনার মধ্যে অগ্রাধিকার ঠিক করে নিতে চাইছে। ফলে তালিকার বাইরে থাকা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু করা কিছুটা সময়সাপেক্ষ হতে পারে।
কোন দিকগুলোয় বাংলাদেশের আরও কিছু করণীয় রয়ে গেছে বলে জাপান মনে করে, আমার সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সেই কর্মকর্তা যেমন বলেছেন, ভৌত অবকাঠামোর বাইরে বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পর্কিত আইনগত বিভিন্ন ব্যবস্থা সময়োপযোগী করে নেওয়া হয়েছে কি না এবং সম্ভাব্য পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হবে কি না, সেসব দিকও ভালোভাবে যাচাই করে দেখা দরকার। এসব দিক বিবেচনায় রেখে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উন্নত করে নেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে রয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা উল্লেখ করেন। তবে তিনি এ কথাও বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী কান অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি এগিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতী এবং জাপানের বাজারে যেহেতু আজকাল আগের চেয়ে অনেক বেশি বাংলাদেশে তৈরি পণ্য চোখে পড়ে, তাই সময়ের বিষয়টি নির্ধারণ করে নেওয়া না হলেও দুই দেশের মধ্যে কর্মকর্তা পর্যায়ের নিয়মিত সংলাপ অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির আলোচনা শুরু করার দিকে উভয় পক্ষকে নিয়ে যাবে। ফলে আমরা ধরে নিতে পারি, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গণ্য এই দিকটিতেও প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরকে সফল হিসেবেই দেখা দরকার।
অন্যদিকে বাংলাদেশি পক্ষ সফরের ফলাফল নিয়ে যে খুবই সন্তুষ্ট তা সংবাদমাধ্যমের খবরই আমাদের বলে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের অন্যতম অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত যেমন আমাকে বলেছেন, সব দিক থেকেই পরিতৃপ্তির অনুভূতি নিয়ে দেশে ফিরে গেলেও সামান্য যে অতৃপ্তি তাঁর মধ্যে রয়ে গেছে তা হলো, ঢাকা শহরের পরিবহন সমস্যা সমাধানে পাতাল কিংবা উড়াল রেলের ব্যবস্থা তৈরির প্রস্তাবে জাপানের কাছ থেকে সেভাবে সাড়া না পাওয়া।
বিষয়টিকে ঠিক অবকাঠামো তৈরির আওতায় না ফেলে মানবকল্যাণ খাতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হিসেবে জাপানি পক্ষের সামনে তুলে ধরতে পারলে ভবিষ্যতে মনে হয় ভালো সাড়া এই ক্ষেত্রটিতেও পাওয়া যাবে। কেননা, জাপান এখন দেশের ভেতরে চলতে থাকা সমালোচনার মুখে অবকাঠামো তৈরির সহযোগিতা থেকে ক্রমশই সরে আসতে শুরু করেছে। ফলে পদ্মা সেতু নির্মাণে আগের অঙ্গীকার পূরণ করতে হওয়ায়, সেই খাতে ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতির বাইরে ভৌত অবকাঠামো তৈরির নতুন কোনো দিক নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার সুযোগ জাপানের সামনে এখন তেমন নেই।
সবশেষে বলতে হয়, জাপানের সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়মিত প্রচারিত না হলেও একেবারে আড়ালে তা থেকে যায়নি। তবে এ ক্ষেত্রে প্রচার আরও একটু ভালো হতে পারত, যা কিনা আমাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তের কারণেই হতে পারেনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোনো সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য না রাখায় সফরের ঠিক কোন দিকটির কথা জাপানের জনগণকে জানানো প্রয়োজন, সে বিষয়ে জাপানি সাংবাদিকদের মধ্যে পরিষ্কার কোনো ধারণা ছিল না। বাংলাদেশ থেকে আগত সাংবাদিকদের জন্য সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন না করে বরং জাপানের সাংবাদিকদের জন্য সেই মূল্যবান সময়টুকু বরাদ্দ রাখা হলে প্রধানমন্ত্রীর সফরের আরেকটু ভালো প্রচার জাপানে হয়তো পাওয়া যেত।
===========================
আলোচনা- 'কর্মপরিবেশঃ স্বর্গে তৈরি'  গল্পালোচনা- ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া...’  আন্তর্জাতিক- উইকিলিকসঃ হাটে হাঁড়ি ভাঙা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ  গল্পসল্প- ওরা ধান কুড়ানির দল  শিক্ষা- আদিবাসী পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চাই  জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অর্থের মূল উৎস সৌদি আরব  রাজনৈতিক আলোচনা- এমন বন্ধু থাকলে...  শিল্প-অর্থনীতি শেয়ারবাজারের সুন্দরী প্রতিযোগিতা-তত্ত্ব  সাক্ষাৎকার- খাদ্যনিরাপত্তার জন্য বিকল্প উপায় খুঁজতা হবে  খবর, প্রথম আলোর-  দলীয় স্বার্থ বড় করে দেখবেন না  মার্কিন কূটনীতিকদের গোপন তারবার্তাঃ পাকিস্তানে জঙ্গি নির্মূলে ১০-১৫ বছর লাগবে  অধ্যাপক ইউনূসের অর্থ স্থানান্তর : গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাখ্যা  শিল্প-অর্থনীতি 'সময় এসেছে মাথা তুলে দাঁড়াবার'  প্রকৃতি- 'কিয়োটো প্রটোকল ভেস্তে যাচ্ছে, কানকুনে কী হবে?  আলোচনা- 'মেয়েদের লাঞ্ছনা বন্ধ করতে কঠোর হতে হবে'  যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'আগ্নেয়গিরির ওপরে পিকনিক'  আলোচনা- 'হিমালয়ের কোলে এক টুকরো দক্ষিণ এশিয়া'  স্মরণ- 'মানুষের জন্য যিনি জেগে থাকতেন'  রাজনৈতিক আলোচনা- 'আবার আসিব ফিরে!'  আলোচনা- 'রাজকীয় সম্মেলন'  যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'অসারের তর্জন-গর্জন'  আলোচনা- 'একজন নোবেল বিজয়ী, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও ক্ষুদ্রঋণের ফাঁদ'  স্মৃতি ও গল্প- সেই আমি এই আমি  গল্প- 'ঘুঁটি'  আন্তর্জাতিক- অং সান সু চির মুক্তি : মিয়ানমারে কি কি গণতন্ত্র আসছে?  শিল্পি- শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদের সৃষ্টিসমগ্র  সাহিত্যালোচনা- তান তুয়ান এঙের উপন্যাস দ্য গিফট গিফট অব রেইন  খবর- বন্ধ তাবানীতে লোক নিয়োগ  ইতিহাস- আমাদের ভাববিশ্ব ও বৌদ্ধবিহার  স্মৃতি ও ইতিহাস- ঢাকায় আমার প্রথম তিন দিনের স্মৃতিরোমন্থন  আলোচনা- একমাত্র প্রবাল দ্বীপটি কি হারিয়ে যাবে  আলোচনা- বাংলাদেশের সমাজ : মধ্যবিত্ত সমাচার  গল্প- দূর গাঁয়ের গল্প  সাহিত্যালোচনা- কবিতার হয়ে ওঠা


দৈনিক প্রথম আলোর সৌজন্যর
লেখকঃ মনজুরুল হক
শিক্ষক ও সাংবাদিক।


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.