এমিলি-এনামুলদের পাস নম্বরও দেননি রুবচিচ

বাজে পরিকল্পনা, ক্লান্তির নামে খেলোয়াড়দের ভেঙে পড়া, ইনজুরি, মাঠে বেশির ভাগ খেলোয়াড়েরই মনোযোগে ঘাটতি—এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ফুটবল দলের তিন ম্যাচেই হার এবং ১০ গোল খাওয়ার তাৎক্ষণিক ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন কোচ রবার্ট রুবচিচ। বাংলাদেশের ক্রোয়েশিয়ান কোচ মাঠে তাঁর খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সও মূল্যায়ন করেছেন বাফুফেকে দেওয়া তিন পৃষ্ঠার রিপোর্টে।
‘অসুস্থতা নিয়ে আমিনুল দুটি ম্যাচ খেলেছে। হিমেল প্রথম ম্যাচে খুবই ভালো খেলেছে। নিজের দোষে গোল খায়নি। ভবিষ্যতে সে সম্পদ হতে পারে’—রিপোর্টে বলেছেন রুবচিচ। নাসির সম্পর্কে মূল্যায়ন, ‘ভালো ড্রিবলার। খেলাটা বোঝে। তবে কিছু দুর্বলতাও আছে।’ রেজাউল-মামুন মিয়া-আরিফুলের ব্যাপারে তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘তারা পেশাদার, শক্ত মানসিকতার, তবে টেকনিক্যালি খুব খারাপ। টেকনিক্যালি তাদের অনেক উন্নতি করতে হবে।’
দলের নেতা হতে গেলে মামুনুলকে আরও প্রমাণ দিতে হবে বলে মনে করেন রুবচিচ। খেলোয়াড়দের ফিটনেস সম্পর্কে বলেছেন, ‘৫-৬ কেজি ওজন বেড়েছে মিন্টুর, মাঠে তার চলাফেরাই কঠিন ছিল। এনামুলেরও ওজন বেড়েছে। সেও মাঠে নার্ভাস ছিল এবং প্রাণ ঢেলে খেলে না।’
‘জিতু ভালোই। তবে খেলা নিয়ে তার চিন্তাভাবনার উন্নতি এবং অভিজ্ঞতা দরকার। কমল অধ্যবসায়ী। অন্যদের ঘাটতি পোষাতে গিয়ে আক্রমণে সে ক্লান্ত হয়ে যায়। কার্যকর স্ট্রাইকার হওয়ার মতো দম-গতি এমিলির নেই। জাহিদ হোসেন দ্রুতগতির, তবে টেকনিক্যালি দুর্বল এবং দলীয় সমন্বয়ে ভূমিকা থাকে না। মিঠুন, সবুজ, শাহেদ, শাকিল খুব কম খেলেছে। মূল্যায়ন সেভাবে করা যাচ্ছে না। মিশু-ইনজুরি নিয়ে এক ম্যাচের পুরো এবং এক ম্যাচের অর্ধেক খেলেছে’—এই হলো বাকি খেলোয়াড়দের নিয়ে রুবচিচের মূল্যায়ন।

No comments

Powered by Blogger.