এক সপ্তাহের মধ্যে সুতার মূল্য বৃদ্ধি রোধে পদক্ষেপ

সুতার অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি রোধে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে বাংলাদেশ নিট পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) এক প্রতিনিধিদলকে তিনি এ আশ্বাস দেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান।
বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে বিকেএমইএর পক্ষ থেকে তিনটি দাবি জানানো হয়। এগুলো হচ্ছে—বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে একটি আমদানি ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে আমদানিকৃত সম্পূর্ণ সুতা একসঙ্গে প্রবেশের বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দিয়ে আংশিক শিপমেন্ট ব্যবস্থার প্রচলন; ২০১১ সালের জুন মাস পর্যন্ত অতিরিক্ত ১০ শতাংশের একটি বিশেষ নগদ সহায়তা চালু এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) জন্য সরকার ঘোষিত দ্বিতীয় প্রণোদনা প্যাকেজের অনুদান ছাড় করার ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা দূর করে সরাসরি পাঁচ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া।
বিকেএমইএর সভাপতি বাণিজ্যমন্ত্রীকে আরও জানান, দেশের সুতার বাজারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতায় তাঁরা উদ্বিগ্ন। উচ্চ মূল্যে সুতা কিনতে না পারায় ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিতে হয়েছে অনেক কারখানা। এতে একদিকে যেমন লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হচ্ছেন, অন্যদিকে থেমে যাচ্ছে এ শিল্পের অগ্রযাত্রা।
বাণিজ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সুতার মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সন্তোষজনক সমাধানের আশ্বাস দেন।
ফারুক খান আরও জানান, জাপানে প্রতিবছর প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি ডলারের বাজার রয়েছে। জাপানের সঙ্গে শিগগিরই একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে এবং সেখানে পোশাক রপ্তানি বাড়বে। আগামী ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ থেকে বিকেএমইএর একটি শক্তিশালী প্রতিনিধিদল জাপান সফরে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

No comments

Powered by Blogger.