বাঁদর তাড়াতে হনুমান

সীতাকে উদ্ধার করতে হনুমানের সহায়তা নিতে হয়েছিল রামচন্দ্রকে। এবার কমনওয়েলথ গেমসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হনুমানের সহায়তা নিচ্ছে দিল্লি পৌর কর্তৃপক্ষ। না, দক্ষিণ ভারতের রীতি অনুযায়ী হনুমান-পূজা নয়; সত্যি সত্যিই হনুমান বাহিনী নামছে মাঠে!
দিল্লি গেমসে ১০ সদস্যের হনুমান বাহিনীকে অবশ্য মানব-সন্ত্রাসী প্রতিরোধের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাদের কাজ হবে এই গেমসে বাঁদরের উৎপাত ঠেকানো।
বাঁদর আসলেই দিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন শহরের নিরাপত্তার জন্য নিদারুণ এক উৎপাত। অফিসে, ভিআইপি এলাকায়, বাসাবাড়িতে, পুলিশ স্টেশনে—সর্বত্র গিয়ে বাঁদরামো করে তারা। সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারিটা ঘটেছিল ২০০৭ সালে।
সেবার একদল বাঁদরের আক্রমণে নয়া দিল্লির ডেপুটি মেয়র মারা যান। তার পরই প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। শুরু হয় বাঁদর ঠেকানোর উদ্যোগ। মানুষ তো আর গাছে গাছে লাফিয়ে বাঁদরের সঙ্গে লড়াই করতে পারে না, তাদের গুলি করে মারাও চলে না। তাই প্রশিক্ষণ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় হনুমান। কারণ, বাঁদরেরা যতই ‘বাঁদর’ হোক, হনুমানকে তারা ঠিকই ভয় পায়!
দিল্লিতে সারা বছরই ভিআইপি এলাকার সুরক্ষায় এ রকম প্রশিক্ষিত ২৮টি হনুমান নিয়োজিত থাকে। এর সঙ্গে কমনওয়েলথ গেমস উপলক্ষে রাজস্থান থেকে প্রেষণে আনা হয়েছে নতুন ১০টি হনুমান।
এই হনুমানদের মধ্যে চারটি থাকবে বক্সিং কমপ্লেক্সের বাইরে, চারটি হকি কমপ্লেক্সের বাইরে—এই দুই জায়গাতেই বাঁদরের উৎপাত বেশি। বাকি দুটি হনুমান ‘রিজার্ভ ফোর্স’ হিসেবে থাকবে।
সব মিলিয়ে এবার কমনওয়েলথ গেমসে অনেক কিছু হতে পারে—সন্ত্রাস, স্বাস্থ্যচিন্তা, আবাসন-সমস্যা। কিন্তু বাঁদরামি একদম চলবে না!

No comments

Powered by Blogger.