দুই বাঁহাতির দ্বৈরথ

লড়াইয়ের ভেতরও লড়াই থাকে। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ মানেই লড়াইটা সাকিব আল হাসান বনাম ড্যানিয়েল ভেট্টোরির মধ্যেও। ঢাকায় এসে সাকিবকেই প্রধান প্রতিপক্ষ মেনে ভেট্টোরি এবারও সে রকমই এক লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেন। কিন্তু সাকিব কি নিচ্ছেন চ্যালেঞ্জটা?
আইসিসির ওয়ানডে বোলিংয়ের র‌্যাঙ্কিংয়ে ভেট্টোরি-সাকিব আছেন পিঠাপিঠি—ভেট্টোরি এক নম্বরে, সাকিব দুইয়ে। লড়াইয়ের উত্তাপ এখানেও। তবে সাকিব কোনো সমীকরণেই নিতে রাজি নন ভেট্টোরির চ্যালেঞ্জ, ‘এটা ওর নিজস্ব মতামত। আমি মনে করি, একজন খেলোয়াড়ের একার পক্ষে কোনো ম্যাচ জেতানো বা হারানো সম্ভব নয়, এটা টিম গেম। জিততে হলে সবার সমান ভূমিকা থাকতে হবে, সবাইকেই ভালো খেলতে হবে।’
সাকিব কূটনৈতিক চালে হাঁটলেও দুজনের লড়াইটাকে কিন্তু উসকে দিচ্ছে পরিসংখ্যানও। ওয়ানডেতে ভেট্টোরির সেরা বোলিং (৫/৭) বাংলাদেশের বিপক্ষেই। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব ৩৬ রানে ৭ উইকেট নিয়ে করেছেন টেস্টের সেরা বোলিং। ২০০৮-এর অক্টোবরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামের ওই পারফরম্যান্সের পর থেকেই মূলত বাঁহাতি স্পিনার সাকিবের উত্থান। ভেট্টোরি বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে আরও দুর্দান্ত। ৯ টেস্ট খেলে নিয়েছেন ৫১ উইকেট, এর মধ্যে পাঁচবার পেয়েছেন ইনিংসে ৫ বা এর বেশি উইকেট।
দুজনই বাঁহাতি স্পিনার। বিশ্বসেরার লড়াইটাও তাঁদের মধ্যেই। ব্যাটিংটাও ভালোই পারেন দুজনই। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ভেট্টোরি বনাম সাকিব তাই একটু আলাদা মনোযোগ পায় সব সময়ই। দলও প্রত্যাশাভরে তাকিয়ে থাকে তাঁদের দিকে। বাংলাদেশে এসে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ভেট্টোরিও সেটিই মনে করিয়ে দিলেন, ‘আমাদের দুজনের মূল ব্যাপারটা হলো, আমরা দুজনই সম্ভবত যাঁর যাঁর দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি। ...সাকিবই সম্ভবত আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ।’

No comments

Powered by Blogger.