ম্যানইউকে জিততে দেয়নি এভারটন

ওল্ড ট্রাফোর্ড রঙে রঙে সাজেনি। তবে এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচের আগে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের মনে একটু হলেও উদ্যাপনের একটা রং ছিল। এটি যে ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে তাঁর ৭০০তম ম্যাচ।
তবে ম্যাচ শেষে ফার্গুসনের মনের সবটুকু রং ফিকে হয়ে গেছে। গত শনিবারের ওই ম্যাচে এভারটনের সঙ্গে ৩-৩ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ম্যানইউ। আরও একটা প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতে সর্বোচ্চ লিগ শিরোপা জয়ের রেকর্ড নিতে চায় তারা। অথচ মৌসুমের শুরুর দিকেই কিনা মাঝারি মানের একটি দলের কাছে এমন ধাক্কা!
ড্রটাও আবার মহানাটকীয়। এভারটনের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকান মিডফিল্ডার পিনারের গোলে প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল ম্যানইউ। এর পর ড্যারেন ফ্লেচার, নেমানিয়া ভিদিচ ও দিমিতার বারবেতভের গোলে ৩-১-এ এগিয়ে যায় তারা। ম্যাচের তখন ২৪ মিনিট বাকি। ৯০ মিনিটেও স্কোরলাইনটা ছিল এ রকম। ম্যানইউর সমর্থকেরা তখন জয়োৎসব করতে শুরু করেছে। ম্যাচের মোড় ঘুরে গেল তখনই। ইনজুরি সময়ের দুই মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ম্যানইউ শিবিরকে স্তব্ধ করে দেন টিম কাহিল ও আরটেটা। ফার্গুসন আর কী বলবেন? ‘এভারটনকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু সেটা করতে পারলাম না। আমরা দুটি পয়েন্ট ছুড়ে দিয়ে এলাম।’
লিগ কেবল শুরু। মাত্রই চারটি করে ম্যাচ হয়েছে। এখনই শিরোপা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা মুশকিল। তবে শুরুতেই যে শিরোপা লড়াইয়ে ম্যানইউ পেছনে পড়ে গেল, এটা তো অস্বীকার করার জো নেই! চার ম্যাচে চার চারটি পয়েন্ট হারাল তারা। এর আগে ফুলহামের বিপক্ষেও জয়ের প্রান্তে গিয়ে ফিরে এসেছে ফার্গুসনের দল। ম্যাচ শেষে সেটাই বলেছেন ম্যানইউ কোচ, ‘শেষ দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচেই এমন হলো।’
দুটি ম্যাচের শেষ দিকে এমন গোল খাওয়ার ফলে ৪ ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ম্যানইউ। মাইকেল এসিয়েনের জোড়া গোলের সঙ্গে সলোমন কালুর গোল মিলিয়ে ওয়েস্টহামকে ৩-১-এ হারিয়ে শীর্ষে চেলসি। পূর্ণ ১২ পয়েন্ট তাদের। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আর্সেনাল। পরশু বোল্টনের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জিতেছে আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল।
তবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি লিভারপুল আর ম্যানচেস্টার সিটি। লিভারপুল বার্মিংহামের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে। আর ম্যান সিটি-ব্ল্যাকবার্ন ম্যাচটি ড্র হয়েছে ১-১ গোলে।

No comments

Powered by Blogger.